ডায়মন্ড হারবার : ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্যসরকার। দূষণ কমিয়ে পরিবেশকে সবুজ করে তুলতে বরাবরই জোড় দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইয়াস ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনে প্রায় ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা বসানো শুরু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনদফতর। এই কারণে ১৩টি নার্সারিতে ছয় প্রজাতির ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-৩৫টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দেবে রাজ্য
সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই চারাগুলি বিভিন্ন নদীর পাড় এবং সংরক্ষিত এলাকা বসানো শুরু হবে। তবে ইতিমধ্যেই বনমহোৎসব-এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃক্ষ রোপণের শুরুয়াত হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মন্ডল বলেন, ‘আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ায় প্রচুর পর গাছ লাগানো হয়েছিল সুন্দরবনে। ইয়াসের জেরে সেই গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এবার প্রায় ৫ কোটি গাছ লাগানো হচ্ছে। গাছগুলির পরিচর্যাতেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানের পর সুন্দরবন জুড়ে প্রচুর ম্যানগ্রোভের চারা বসানো হয়েছিল। কিন্তু ইয়াসের জেরে প্রায় ১ কোটি নষ্ট হয়ে যায়। সবুজের সেই ঘাটতি মেটাতে জেলা প্রশাসন ও বন দফতর যৌথভাবেই বৃক্ষরোপণের কাজ শুরু করে। এবার বন দফতর নিজ উদ্যোগেই ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগাতে চলেছে। এবার সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় ১৯০২ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ লাগাবে বনদফতর। যার মধ্যে ম্যানগ্রোভ লাগানোর জন্য ১০৯৪ হেক্টর খাসজমি বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন-সংসদভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দু, ক্ষুব্ধ বিজেপিই
গত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই জেলার ১৩টি নার্সারিতে দুই প্রজাতির বাইন, কাঁকড়া, ক্যাওড়া, খুলসি, গর্জন ও গরান গাছের চারা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে নিয়োগ করেই গাছ লাগানোর কাজ চলছে। আপতত বনমহোৎসব-এর মাধ্যমে কয়েকটি ব্লকে অল্প অল্প গাছ লাগানো হলেও সেপ্টেম্ব মাস থেকে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, কুলতলি, বাসন্তী, গোসাবা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১টি ব্লকে চলবে বৃক্ষ রোপন চলবে।