শ্যামল রায়, কৃষ্ণনগর : নদিয়া জেলায় খাদ্যদফতর (Food Department) চাষিদের দুয়ারে। সরাসরি ওঁদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে ৪৮ কোটি টাকার। ফোড়েদের আটকাতে খাদ্যদফতর ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে। বৃহস্পতিবার খাদ্যদফতর (Food Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খরিফ মরশুমে ২০২১ ও ২২ আর্থ বছরে ধানকেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে এক লক্ষ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। চাষিদের উৎসাহিত করতে ঘরের কাছে গিয়ে ধান কিনছে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। চলতি সপ্তাহে ধান কেনা হয়েছে ২৪ হাজার ২০৬ মেট্রিক টন। ফলে গত এক মাসে ১০ হাজার ৮৭৩ জন চাষি উপকৃত হয়েছেন। ধান কিনতে দুটি শিবির হয়— একটি স্থায়ী, একটি অস্থায়ী। স্থায়ী শিবিরে ১৯টি ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই ও তিনটি ধানক্রয় কেন্দ্র চালাচ্ছে ইসিএসসি। অস্থায়ী শিবিরে আছে ৩২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ১১৩টি সমবায় সমিতি। এ ছাড়াও ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন আছে। চাষিরা উৎসাহভাতা পাচ্ছেন ২০ টাকা করে। ধান ক্রয়কেন্দ্রে এক কুইন্টাল ধানের দাম ১৯৪০ টাকা। উৎসাহ ভাতা যোগ করে ১৯৬০ টাকা। স্থায়ী শিবির থেকে ৩১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার ধান বিক্রি হয়েছে। মানে প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন। স্থায়ী শিবির থেকে ১৬ কোটি ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার ধানবিক্রি হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন-Gangasagar Mela: সাগরমেলা অনলাইনে পুজো, মিলবে প্রসাদও
অস্থায়ী শিবিরে চাষিদের ভাড়ার খরচ লাগছে না। উল্টে উৎসাহ ভাতা পাচ্ছেন। আগে কম দামে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে ফড়েরা লাভবান হত। অসহায় হয়ে পড়তেন চাষিরা।
বৃহস্পতিবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আধিকারিক বাবুল ভক্ত জানিয়েছেন, এখন খরিফ বিপণন মরশুম তাই ২০২১ ও ২২ আর্থ বছরের নভেম্বর মাসে কৃষক রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে ধানকেনা। লক্ষ্য রয়েছে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার। সরকারি দামে ধানবিক্রি করতে পেরে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।