শান্তনু বেরা, হলদিয়া : হুগলি নদীর তীরে শুরু হতে চলেছে হলদিয়া দ্বিতীয় বন্দর (ডক-টু) তৈরির কাজ। ২০১০ সাল নাগাদ, তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করেছিলেন। এক দশকের টানাপড়েন শেষে নতুন বছরের শুরুতেই শুরু হবে কাজ। এর জন্য প্রথম পর্বে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে লিকুইড কার্গো হ্যান্ডেলিং জেটি তৈরি হবে। বন্দর বিশেষজ্ঞদের মতে, শালুকখালিতে নাব্যতা ৯ মিটারের কাছাকাছি। ফলে বেশি পণ্য নিয়ে বড় গ্যাস বা তৈলবাহী ট্যাঙ্কার আসতে পারবে।
আরও পড়ুন-ওয়ার্ডের অভিভাবক
বন্দরে ঢোকার জন্য নয়াচর নন্দীগ্রাম সংলগ্ন হলদিয়া চ্যানেলে জাহাজকে যে সমস্যায় পড়তে হয়, শালুকখালিতে সেই সমস্যা অনেক কম হবে। বন্দর সূত্রে প্রকাশ, ডিসেম্বরের মধ্যেই কাগজপত্রের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দিলেই ডক-টু তৈরিতে জানুয়ারি নাগাদ নামবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হুগলি অয়েল অ্যান্ড গ্যাস টার্মিনাল প্রাইভেট লিমিটেড। ২০২৪ নাগাদ শালুকখালিতে জাহাজে পণ্য ওঠানামা শুরুর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে (পিপিপি মডেল) কাজ হবে।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন মানেই কৃষ্ণা
ইতিমধ্যেই এলএনজি পরিবহণের জন্য গেইল উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে হলদিয়া গ্যাস পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এটি চালু হলে হলদিয়া দ্বিতীয় বন্দরের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়তি নাব্যতার কারণে আগামীদিনে পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ এলএনজি আমদানি-রফতানির যোগসূত্র হয়ে উঠবে হলদিয়া ডক-টু। এর দৌলতে রাজ্যের অর্থনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এই হলদিয়া দ্বিতীয় বন্দর। দূষণ কম ও দামে সস্তা বলে যানবাহনে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের চাহিদা বাড়বে।