প্রতিবেদন : রাজ্যে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে সিআইডি। সাইবার ক্রাইম বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি নতুন পদ, এডিজি (সাইবার)। সোমবার হাইকোর্টে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিআইডির এই নতুন পদক্ষেপের কথা। এর পরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত একটি সেক্সটরসন মামলার দায়িত্ব দেন সিআইডির এডিজি (সাইবার)কে। স্পষ্টতই সিআইডির উপরে আরও একবার আস্থা প্রকাশ করল হাইকোর্ট। জানিয়ে দিল সিবিআই নয়, এই ঘটনার তদন্তে উপযুক্ত সিআইডিই।
আরও পড়ুন-পাথরপ্রতিমায় আরও নতুন ৪টি জেটির শিলান্যাস করলেন মন্ত্রী
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের সাইবার অপরাধের নেপথ্যে সক্রিয় এক বিশাল চক্র। এর ডালপালা ছড়িয়ে রয়েছে ভিন রাজ্যে। প্রয়োজনে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে এই অপরাধের কিনারা করতে হবে। পুলিশের যেসব অফিসাররা এই তদন্তে যুক্ত রয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সরানো যাবে না। রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, সিট গঠনের পরিকল্পনা অনেকটাই এগিয়েছে। সারা দেশে এই ধরনের প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের আর্জি, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সিআইডিকে এই তদন্ত আরও জোরদার করার অনুমতি দেওয়া হোক। সিআইডি সূত্রে খবর, এডিজি (সাইবার) পদে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে হরিকিশোর কুসুমাকারকে। লক্ষণীয়, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধ। তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দফায় দফায় ১৫ লক্ষ টাকা ওই বৃদ্ধের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছিল ওই সাইবার অপরাধ চক্র।
আরও পড়ুন-রাজা রামমোহনের মামাবাড়ির পুজো ৬০০ পেরোল
শেষে সামাজিক সম্মান হানির ভয়ে ট্রেনের সামনে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর ছেলে চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবী সিবিআইকে দিয়ে এই ঘটনা তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সিবিআই নয়, ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশও সাইবার অপরাধ দমনকে অগ্রাধিকার তালিকার প্রায় শীর্ষে রেখেছে। বিনীত গোয়েল বছর দুয়েক আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বলেছিলেন, সাইবার অপরাধ দমনই এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারপর কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার তৎপরতাও বিশেষ মাত্রা পায়। বহু অপরাধের কিনারা করে ফেলেন তাঁরা। লাগাতার অভিযান শুরু করে তারা। ধরা পড়ে জামতাড়া গ্যাঙের কয়েকজন মাথাও। এই সেক্সটরসনের ঘটনাতেও জামতাড়া গ্যাঙের বা অন্য কোনও ভিন রাজ্যের চক্রের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।