প্রতিবেদন : রাজ্যের (West Bengal) কোষাগারের টাকা খরচের ক্ষেত্রে আরও শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনতে অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করার বিষয়ে বেশ কিছুু নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের দেওয়া প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। পঞ্চম অর্থ কমিশনের ওই বরাদ্দ অর্থ কীভাবে এবং কোথায় খরচ করা যাবে তাও তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সম্প্রতি এ-বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে রাজ্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দ ‘টায়েড’ এবং ‘আনটায়েড’ দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে নির্ধারিত খাতের টাকা কোনওভাবেই অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মের জন্যই এই টাকা দেওয়া হবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পর্যটনের উন্নয়নে গ্রামে ইকো ট্যুরিজিম পার্ক, মডেল ভিলেজ এবং হোম স্টে তৈরির কাজে ওই তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যাবে। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, পুকুর ও জলাশয় খনন, বাজার তৈরি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তৈরির মতো স্থায়ী সম্পদ তৈরির কাজে টায়েড ফান্ডের টাকা ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, নারী ও শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী আনটায়েড তহবিলের টাকা খরচ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের অর্থ কীভাবে এবং কতটা খরচ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ভাবে তার ওপর নজরদারি চালানো হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে প্রতি তিনমাসের খরচের রিপোর্ট পঞ্চায়েত দফতরকে পাঠাতে হবে। রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে তবেই পরবর্তী পর্যায়ের বরাদ্দ মিলবে। পঞ্চায়েতের টাকা খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যে (West Bengal) ‘অনিয়ম’ বাড়ছে, কেন্দ্রের তরফে বারবার এই অভিযোগ খাড়া করা হচ্ছে। আর সেই অভিযোগকে অজুাহত বানিয়ে রাজ্যের বকেয়া আটকে রাখার নিত্যনতুন ফিকির খোঁজা চলছে। সেই আবর্তেই ফিনান্স কমিশনের টাকা খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যের এই কঠোর অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দূষণও ডায়াবেটিসের কারণ, বলছে সমীক্ষা