প্রতিবেদন : কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখতে এবার থেকে নয়া নিয়ম কার্যকরী হতে চলেছে রাজ্যজুড়ে। ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের যন্ত্রের নির্মাতাদের রাজ্যের কঠোর নির্দেশ, প্রতিটি যন্ত্রের রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে আগেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অসাধু উপায়ে কন্যাভ্রূণ হত্যার চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য।
আরও পড়ুন-ইরানের মাজারে আইএস-এর হামলায় মৃত ১৬
স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইউএসজি, এমআরআই-এর মতো ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের যন্ত্র যাঁরা তৈরি করেন তাঁদের প্রত্যেককে নিজেদের যন্ত্রের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এই যন্ত্র যাঁরা আমদানি করেন সেই পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককেই নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। স্বাস্থ্যভবনের পিসিপিএনডিটি শাখার স্টেট অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটির কাছে যথাক্রমে ১০ ও ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হবে এই রেজিস্ট্রেশন। পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য ধার্য হয়েছে ১০ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত তিন বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে। নাম নথিভুক্তকরণ না হলে কোনওভাবেই রাজ্যের বুকে যন্ত্র কেনাবেচা বা মেরামত কোনওটাই করা যাবে না। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কেনাবেচা, মেরামতির নথিপত্র সবসময় সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। প্রতি ৩ মাস অন্তর সেই হিসেব পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে। পাশাপাশি পরিদর্শন করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে। যন্ত্র কেনা বা বিক্রির সময় সময় ক্রেতার কাছ থেকে স্ট্যাম্প পেপারে নোটারি করে হলফনামা নিতে হবে। সব মিলিয়ে রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের।