অভিরূপ ভট্টাচার্য: আর মাস তিনেকের অপেক্ষা। বাংলা নতুন বছরেই রাজ্যবাসিকে নবনির্মিত টালা ব্রিজ উপহার দিতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। করোনা সংক্রমণের বাড়াবাড়ির মধ্যেও সেই কাজে ছেদ পড়েনি। করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনেই ব্রিজ নির্মাণ এগিয়ে চলেছে মসৃন গতিতে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়ায় পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের পরামর্শ তৈরি করছেন বর্ষীয়ান নাগরিকরা
৮০০ মিটার লম্বা এবং ১৯ মিটার মিটার চওড়া চার লেনের ব্রিজ তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৪৬৫ কোটি টাকা প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে টালা ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়া রেল লাইনের উপরের অংশ নির্মাণের জন্য রেলের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমতি পেতে আদায় করতে মাস ছয়েক লেগেছে। ৯ ডিসেম্বর সেই অনুমতি মেলার পর থেকে জোর কদমে শুরু হয়েছে ব্রিজ তৈরির কাজ। অতিমারির কারণেও ব্রিজ নির্মাণের কাজে কোনও ভাটা পড়েনি। দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ।ওই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, তার র্জীর্ণ অবস্থার কথা। তার পরেই রেলের সঙ্গে আলোচনার পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সমস্যার অনেকটাই সমাধান করলেও এবারে আমূল সংস্কারের পালা
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার কিছু দিনের মধ্যেই ওই সেতু ভাঙার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। উত্তর কলকাতার নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে। যার ফলে নিত্য যানজটের সমস্যায় জেরবার উত্তর কলকাতা ও শহরতলীর এক বিরাট অংশের মানুষ। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই যথাসম্ভব দ্রুত গতিতে টালা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।