তিলজলা (Tiljala) কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত অলোক কুমার পুলিশের জেরায় বারবার বয়ান বদল করেই চলেছে। উঠে এসেছিল তান্ত্রিকতত্ত্ব। কিন্তু তান্ত্রিকের নাম–ঠিকানা পর্যন্ত ঠিক করে বলতে পারেনি । তদন্তকারীদের নজর ঘোরাতেই এই তান্ত্রিক তত্ত্ব সামনে আনা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তন্ত্রসাধনার তত্ত্বের সমর্থনে তেমন কোন তথ্য দিতে পারেনি অভিযুক্ত। ধর্ষণই ছিল তার আসল উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তান্ত্রিকের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে শুধুমাত্রই নজর ঘোরাতে। দু’দিন ধরে নাবালিকাকে অনুসরণ করে তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত অলোক কুমার।
আরও পড়ুন-লাল-হলুদে অপেক্ষা বাড়ছে
তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত অলোক কুমারের বিরুদ্ধে। জেরার পরে অভিযুক্ত জানায়, ঘটনার দিন জঞ্জাল ফেলে ফেরার সময় নাবালিকাকে জোর করে টেনে নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকিয়ে নেয় । মুখ বেঁধে, হাত–পা বেঁধে অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। জোরে রেডিয়ো চালিয়ে দিয়েছিল যাতে কেউ শুনতে না পায়। রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত নিয়ে কোর্ট কমিশনই শেষ কথা
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিমতলার একটি ঠিকানায় ওই তান্ত্রিক বসে বলে জানিয়েছিল ধৃত অলোক। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এখানে ওই নামে কেউ থাকে না। অন্যান্য তান্ত্রিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও সূত্র মেলেনি।