সবাই তো সুখী হতে চায়
বাবি-বুবু পাড়ায় সেরা জুটি। বলা যায় সুখী জুটি। এখনও দম্পতি বলার সময় আসেনি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওরা নিজেরা নিজেদেরকে অসুখী মনে করে। ওদের বিশ্বাস বাবি-বুবু ছাড়া সবাই অনেক বেশি সুখী। তাই তাদের অঙ্গীকার নতুন বছরে আরও আরও সুখী হতে হবে। ২০২৩ ওদের দেখিয়ে দিয়েছে ভারতবর্ষের মানুষ এক বছরে আরও একটু সুখী হয়েছে। ২০২৩-এর বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তালিকার শীর্ষে ফিনল্যান্ড। বিশ্ব সুখী রিপোর্ট ২০২৩ (World Happiness Report 2023)। দেশের আয়, স্বাস্থ্য, জীবনশৈলী, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাঁচার মানদণ্ডের নিরিখে ১৩৭টি সুখী দেশের এই তালিকায় ভারতের ১২৪ নম্বর-এ। বাবি-বুবুদের মতো ভারতও একটু একটু করে সুখী হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের চিন্তাটা রয়েই গেছে। আমাদের পড়শি দেশগুলোর মানুষরাও আমাদের চেয়ে সুখী আছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা অর্থনীতি হাওয়া সত্ত্বেও ভারতকে পেতে হয়েছে ১২৪ নম্বর স্থান। যুদ্ধবিধ্বস্ত, আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের মানুষজনও ভারতের চেয়ে বেশি সুখী। মূলত ছটি বিষয়কে দেখেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে— আয়, সুস্থ জীবনের আনুমানিক বয়স, সামাজিক সহযোগিতা, স্বাধীনতা, বিশ্বাস ও উদারতা। তবে রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোভিড-১৯ জনকল্যাণমূলক কাজকে কতটা প্রভাবিত করেছে। মানুষের মধ্যে পরোপকারিতা বেড়েছে না কমেছে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, পরোপকার ও সামাজিক সম্পর্ককেও সুখী তালিকার মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। উত্তর ইউরোপের দেশগুলির সামাজিক বিশ্বাস ও ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রবণতা শেখার মতো। মহামারী কোভিডের সময়েও নর্ডিক এই দেশগুলিতে পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় মৃত্যুর হার কম ছিল। তাই তাদের সুখী হওয়ার প্রবণতাও বেশি।
বাবি-বুবুর মতো ভারতবাসী নতুন বছরে স্বপ্ন দেখে আরও একটু সুখী হওয়ার। সমাজে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। তাতেই সুখের সাগরে ভাসতে পারবে আমার দেশ, আমার পরিবার, আমরা-সবাই। আমরা সবাই তো সুখী হতে চাই। কেউ হয়। কেউ হয় না। আমরা বাঙালিরা সুখী হওয়ার দৌড়ে নতুন বছরে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব। আমাদের মধ্যে অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতাও বাড়ছে, বাড়ছে পারস্পরিক বিশ্বাস। সামাজিক সম্পর্কগুলোও আমাদের হাত ধরে সুখীর তালিকায় আরও একটু ওপরে নিয়ে যাবে। এই অঙ্গীকার নিয়েই বাঙালির নতুন বছরে পথ চলা। বাবি-বুবু তাদের সুখী হওয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।
অভিবাদন তোমাকে প্রিয়তমা
আসলে সুখ বিষয়টাই কেমন যেন আপেক্ষিক। কেউ সুখী হয় চার দেওয়ালের রান্না ঘরে আবার কেউ সুখী হয় সীমান্তে মেশিন গান হাতে পাহারা দিয়ে। আর সীমান্ত প্রহরীর আপনজন অপেক্ষা করে গ্রামের বাড়িতে। এই অপেক্ষা কখন প্রতীক্ষা হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে ভাবে সেও তো পারে তার প্রিয় পুরুষের সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিতে। কেন শুধুমাত্র গ্রামের বাড়িতে বসে সংসার আগলে রাখবে? ভালবেসে দেশকেও তো আগলে রাখতে পারে। তারাও পারে সেনাবাহিনীর অফিসার হতে। ২০২৩ এই ধ্রুব সত্যটাকেই তুলে আনল। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের ভূমিকার বিষয়ে এই বছরটি ছিল ঐতিহাসিক। সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের প্রথম দিকে আর্টিলারি রেজিমেন্টে মহিলা অফিসারদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা করে। সেনাবাহিনীর ঘোষণা অনুযায়ী, এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হওয়া আর্টিলারি রেজিমেন্টে প্রতি ব্যাচের ১০ শতাংশের বেশি মহিলা কর্মকর্তা যোগ দেন। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে জানুয়ারিতে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত মার্চে এই প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকার। সেই থেকেই ভারতের বিভিন্ন গ্রামের মহিলারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্যে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।
নতুন বছর নারী- পুরুষের এই সমতাকে উদযাপনের পরিসর করছে। এখন আর মেয়েরা শুধুমাত্র ঘরসংসারে আটকে থাকছে না। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু পরিবার কাজ করবে না। দেশ চলবে আপন ঢঙে। দেশের নিরাপত্তার ভার কাঁধে তুলে নেবে তারা। এতদিনের শারীরিক অক্ষমতার অভিযোগকে তুচ্ছ করে এগিয়ে চলবে তারা। তারাই হবে সীমান্তরক্ষী অফিসার। অভিযোগ আর হীনমন্যতা বিসর্জনের বছর হয়ে উঠবে ২০২৪। অভিবাদন জানাবে নারীকে। এমন দিন এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখবে যেদিন সেনাবাহিনী প্যারাট্রুপারের থেকে বোমার পরিবর্তে চকোলেট আর গোলাপ ফেলবে রাশি রাশি। নারীকেও কখনও কোমল কখনও কঠিন হতে হবে। ২০২৩-এর এই সুযোগ ২০২৪-এর নারীকে করে তুলবে মহীয়সী।
চাঁদের দেশে আমার বাড়ি
শুধু সীমান্ত নয় মহাকাশেও ভারতের সাফল্য প্রশ্নাতীত। আজ পর্যন্ত যা কেউ পারেনি তা করে দেখিয়েছে ভারত। চন্দ্রযান ৩-এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতারণকারী প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে। আবার আদিত্য এল ওয়ানের সাফল্যের মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে তার শক্তি উপলব্ধি করিয়েছে। ‘আদিত্য এল ওয়ান’ সূর্যের চারপাশে বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করছে। ২০২৩-এর এই সাফল্য একদিনে আসেনি, দিনের পর দিন মেধা, পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফল পেয়েছে ভারত। সবচেয়ে কম খরচে মহাকাশে পাঠিয়েছে তাদের গবেষণার ফসল।
২০২৪ তার ভারতের মহাকাশের ঠিকানা আরও জনপ্রিয় করছে। ভারতবাসী স্বপ্ন দেখছে আর এখানে নয় ঘর বাঁধবে চাঁদে। চাঁদের জমিতে গড়ে উঠবে মানুষের বসতি। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর আর আজ সেটা স্বপ্ন নয়। স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার একটা ধাপ মাত্র। লক্ষ্যে স্থির থাকলে ভারতের সাফল্য আসবেই। ২০২৪-এই আসবে ভারতের শুভ দিন।
ই-মেলে জুড়ল হনুলুলু হলদিয়া
গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে সমতল— ভারতকে জুড়ে দিতে পারে শুধু নেটওয়ার্ক। ঘরে খাবার না থাকলেও খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্যে প্রত্যেকটি ঘর হয়ে উঠছে স্মার্ট ঘর। এই স্বপ্ন দেখছে আপামর ভারতবাসী ও বাংলার প্রতিটি প্রান্ত। ২০২৩-এ টেকনোলজি ও কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। ইন্টারনেট রেশিলিয়েন্স ইনডেক্সে প্রায় ৪৩ শতাংশ স্কোর অর্জন করেছে। এশিয়াতে উঠে এসেছে ষষ্ঠ দেশ হিসাবে। নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ নিয়ে সারা পৃথিবী যখন ভুগছে তখন ভারত এগিয়ে চলছে দুরন্ত গতিতে। তাই ভারতের বাজারেও ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইসগুলির দামও বাড়ছে।
আর ষষ্ঠ নয়। প্রথম হয়ে উঠতে হবে এশিয়াতে। ২৪-এ প্রতিটি ভারতীয় এবং বাঙালির স্বপ্ন ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এদেরকে পিছনে ফেলে হাতে হাত রেখে ভারত হবে প্রথম। জুড়বে বিশ্ব, জোড়াবে প্রতিবেশীকে।
আর ইন্টারনেট বাঙালির হাতের মুঠোয় এলে বাঙালি পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নেবে। তবে এই ইন্টারনেটের ব্যবহারই আগামী বছরে গ্রাম-শহরের ভেদাভেদকে কমিয়ে দেবে। তৈরি হবে প্রযুক্তির সাম্য। তথ্য আদান-প্রদানে গতি আসবে। ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে— সত্যি হবে।
আরও পড়ুন: মোদি-শাহের আপন দেশে আইনকানুন সর্বনেশে
বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে-গীতিতে
এমন অনেক সত্যি ২০২৩-এ আমাদের তৃপ্তি দিয়েছে। কৃষ্ণনগরের সরভাজা জিওট্যাগ পেয়েছে। স্থানীয় কারুশিল্প ও কৃষি ঐতিহ্যে স্বীকৃত রাজৌরি জেলার চিকরি কাঠের কারুকাজ এবং অনন্তনাথ জেলার মূল্য মুষকবুদ্জি ধানের চালকে জিওট্যাগের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি প্রিমিয়াম সুগন্ধী ধানের প্রজাতি হিসেবে স্থান পেয়েছে। এই ধানের চাল যখন রান্না করা হয় তখন এই চালের সুগন্ধ ছাড়ায়। আর অন্য দিকে রাজৌরি জেলার চিকরি কাঠের কারুকাজে জটিল স্বল্পিকতার পরিচয় রয়েছে। এই কারুকাজ প্রশংসা পেয়েছে তিলক মধুর রঙের নরম কাঠের জন্য। সূক্ষ্ম খোদাইয়ের মাধ্যমে এটি প্রান্তবন্ত হয়ে উঠেছে। এ-বছরই জিওট্যাগ পেয়েছে কাশ্মীরের পশমিনাও। এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র কারিগরদের নয়। ঐতিহ্যের ও স্বতন্ত্রতার। বাসোহলির পশমিনা ব্যতিক্রমী তার কোমলতা, সূক্ষ্মতা এবং পালকের মতো হালকা ওজনের জন্য। পশমিনা বিলাসিতা ও কমনীয়তার প্রতীক। আভিজাত্যের সঙ্গে উষ্ণতার মেলবন্ধন করেছে পশমিনা। প্রাপ্তির ঝুলিতে অনেক কিন্ত এখনও অনেক প্রত্যাশাও আছে।
২০২৪ হয়তো শুরু হবে সেই প্রত্যাশা থেকে। বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি বড়ি, আমকাসুন্দি, আমসত্ত্ব, কাঁচের বোয়েমে সাজানো নানান আচার এবং বাংলার নলেন গুড়ের মিষ্টি বিশ্ববাসীর কাছে হয়ে উঠবে অনন্য। জিওট্যাগ তাকে দেবে স্বীকৃতি। ২০২৪ বাংলা, বাঙালি এবং ভারতীয়কে বিশ্ব মানচিত্রে অনন্য করে তুলবে।
এভাবেও ফিরে আসা যায়
চলতি বছরে গুগল আলোচনার শীর্ষে রয়েছে চলমান ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ আর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে বিধ্বস্ত হওয়া ওশান গেটের টাইটান। আর পৃথিবীর মানুষ জানতে চায় তুরস্ক সিরিয়ার বিধ্বংসী ভূমিকম্প নিয়েও। কিন্ত ২০২৪ যুদ্ধ চায় না আর। বরং পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধের শেষ হোক— এটাই স্বপ্ন দেখবে আগামী বছর। বিশ্বকে তৎপর হতে হবে প্রকৃতির মোকাবিলায। ভূমিকম্প হোক, ঝড় হোক, মানুষকে দ্রুত বুঝে নিতে প্রকৃতির নিয়মকে মানতে হবে পৃথিবী জুড়েই। বড়লোক আর গরিবলোকের পরিবেশ নিয়ে ঝগড়া না থামালে সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন ব্যর্থ হবে।
যাকে নিয়ে ২০২৩-এ পৃথিবী সবচেয়ে বেশি ভেবেছে, তিনি দামান হ্যামলিন। এনএফএলের ‘বাফেলো বিলে’ খেলার সময় তিনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত প্রায় মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসেন। এরপর মাঠে পারফরম্যান্স দেখান জাত খেলোয়াড়ের মতো। হ্যামলিনের মতোই আরও একজনকে নিয়ে পৃথিবী তোলপাড়। অভিনেতা জেরেমি রেনার। তিনি গুরুতর বরফ সরানো গাড়ির দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ২০২৩-এর এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে এভাবেও ফিরে আসা যায়। জীবনে হঠাৎ করে কিছু শেষ হয় না। শুধু মনোবল আর পরিকাঠামোই ফিরিয়ে আনতে পারে জীবনের মূল স্রোতে। চোখে আঙুল দিয়ে হ্যামলিন এবং রেনার আমাদের সেটা দেখিয়ে দিলেন। তাই ২০২৪ হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালাদের মতো ফিরে আসার বছর হোক। ঘুরে দাঁড়াবার বছর হোক।
ঘুরে দাঁড়ানোর খেলা
অনেকদিন পর ২০২৩ দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হীন বিশ্বকাপ। এ-বছরই টানা সব ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলেছে ভারতবর্ষ। কিন্ত রোহিত, রাহুল, বিরাট ভারতবাসীর স্বপ্নকে সার্থক করতে পারেনি। তীরে এসে তরি ডুবেছে। ভারতবাসীর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট বলছে খেলায় হার-জিত আছে। কিন্ত মন বলছে এ-যেন বাইশ গজে আত্মসমর্পণ।
২০ নভেম্বর থেকে ভারতবাসী আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বিশ্বকাপের জন্যে। ধৈর্য, উপযুক্ত পরিকল্পনা আর সেরা পারফরম্যান্স হয়তো ভারতকে এনে দেবে পরের বিশ্বকাপ। ২০২৪ হয়ে উঠবে ভারতবাসীর স্বপ্ন দেখার বছর। আবার লড়াই শুরু করতে হবে।
বিশ্ববাসীর সঙ্গে ভারতবাসীও ২০২৩-এ পেল নতুন তারকা। স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি কার্লোস আলকারাজকে। ২৪-এ তাই প্রত্যাশা বিশ্ব টেবিল টেনিস থাকবে তাঁর নেতৃত্বে। ২০ বছর বয়সি আলকারাজ তাঁর তারুণ্য ও দক্ষতায় মাতিয়ে দেবে টেনিস কোর্ট। ২০২৪ হয়তো হয়ে উঠবে বিশ্ব ফুটবলের অভুত্থানের বছর। এ-বছর তার ইঙ্গিত দিয়েছে সৌদি আরব। ফুটবলের বিপ্লব ঘটেছে। বিশ্বকাপে হইচই ফেলে দিয়েছে। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আল নাসারে পাড়ি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলে সব হিসেবনিকেশ বদলে দিয়ে। ২০২৪-এ তাই বিশ্ব ফুটবল প্রেমিকদের কাছে ফুটে উঠবে নতুন সমীকরণ। আরব ফুটবল বিপ্লবে নাম লিখিয়েছে নেইমার জুনিয়র, থারিম বেনজেইমা, সাদিও মারে, এনগোলো কান্তে, রবার্তো ফিরমিনো এবং ইয়াসিন বুনোর মতো তারকারা।