নাজির হোসেন লস্কর: হাতে আর দু’মাস৷ পৌষ সংক্রান্তিতে জেলার অন্যতম মেলা গঙ্গাসাগর৷ যাকে কেন্দ্র করে সমাগম ঘটে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর৷ আসন্ন মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনায় সাগরদ্বীপে গেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নবনিযুক্ত জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শনিবার প্রথম পরিদর্শনে গেলেন গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণে৷ পুরো ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখলেন নয়া জেলাশাসক। ঘুরে দেখলেন সমুদ্রতট, মেলাপ্রাঙ্গণ, রাস্তাঘাট৷ একেবারে ম্যাপ ধরে ধরে খতিয়ে দেখেন প্রস্তুতি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ভাস্কর পাল, সৌমেন পাল, জেলা সহ–সভাধিপতি শ্রীমন্তকুমার মালি, সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাও, বিডিও কানাইয়াকুমার রাও–সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা৷ এর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি পূর্বতন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত প্রস্তুতি বৈঠক ও এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন৷ এদিন জেলাশাসক বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে গোটা এলাকা পরিদর্শন করলাম৷ যেখানে যেমন প্রয়োজন তারই প্রস্তুতি হিসেবে কাজ চলছে৷ মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্যমূলক পরিষেবা–সহ নানা দিক খতিয়ে দেখেছি৷ এদিনের প্রস্তুতি পর্যালোচনায় খুশি জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা৷
আরও পড়ুন-ট্রফি জয়ের স্বাদ চান অধিনায়ক, ফাইনালে বৃষ্টির পূর্বাভাস, চিন্তায় দু’দল
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গঙ্গাসাগর মেলাকে ‘জাতীয় মেলা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। কেন্দ্রের মসদনে বসে থাকা বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপি সরকারের তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই৷ তবুও কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না হয়ে মেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে গঙ্গাসাগর সেতু৷ যার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে৷ বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে গঙ্গাসাগর মেলাকে নানা আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলে প্রশাসন৷ আসন্ন মেলা ঘিরে তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে৷

