সে এক ভয়াবহ রাত! নিউটাউনে (Newtown Case) কিশোরী ছাত্রী শুধু যৌন লালসার শিকার হয়নি, নির্মমভাবে খুন হতে হয়েছিল তাকে। সেই ভয়ঙ্কর রাতের হাড় হিম করা ঘটনার বর্ণনা দিলেন ধৃত টোটো চালকের স্ত্রী। শোনালেন, কী অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল ছোট্ট মেয়েটিকে!
না তিনি স্বচোক্ষে দেখেননি সেই ঘটনা। পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর অভিযুক্ত স্বামী যে বিবরণ দিয়েছেন, তা-ই পুঙ্খানুপুঙ্খ তুলে ধরলেন মহিলা! বর্ণনা দিতে দিতেই আঁতকে উঠলেন ঘটনার বীভৎসতায়। নৃশংসভাবে মারার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধৃত নিজমুখে সে কথা জানায় স্ত্রীর কাছে। কী ঘটেছিল সেদিন? ধৃতের স্ত্রী জানান, ছেড়ে দেওয়ার নাম করে ছাত্রীটিকে ওই জায়গায় নিয়ে এসেছিল তাঁর স্বামী। তারপর জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে স্প্রিং দিয়ে গলার হাড় ভেঙে দেয়। তারপরে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে। ছাত্রী খুন ও ধর্ষণে ধৃত টোটোচালক স্ত্রীকে জানিয়েছিল, আমার আগে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আমরা একসঙ্গে থাকতাম। সেই স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছিল। তারপর গ্রেফতার হয়েছিল গুণধর স্বামী! তারপর আবার!
আরও পড়ুন- নন-প্র্যাকটিসিং অ্যালাউন্স নিয়ে নার্সিংহোমে বেআইনি প্র্যাকটিস, তলব ১৯ ডাক্তারকে
অষ্টম শ্রেণির একটি মেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য সরল বিশ্বাসে টোটোয় উঠেছিল, তারপর তার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। টোটোচালক নরপিশাচের মতো শেষ করে দিল একটা ফুটফুটে জীবন। নির্যাতিতা-নিহত কিশোরীর মা বলেন, ৬০ টাকা চেয়েছিল রিকশাভাড়া। বলেছিলাম বাড়ি পৌঁছে দাও, আমি তোমাকে দিয়ে দেব। আর বাড়ি ফিরল না মেয়ে। নিউটাউনে নাবালিকার গলায় স্প্রিং পেঁচিয়ে খুন করা হয়। তারপর যৌনলালসা মেটায় টোটোচালক।