সম্পূর্ণ হয়নি মন্দিরের কাজ। তাই এবছর নয়, আগামী বছর থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে হবে রথযাত্রার উৎসব। শুক্রবার, একথা জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, এ বছর মন্দিরের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হচ্ছে না। তাই আগামী বছর থেকে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা হবে। মন্দির নির্মাণের একটি ভিডিও শেয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিডকো শুধু রাজারহাটে উন্নয়নের কাজ করতে পারে। এর বাইরের কোনও জায়গায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা হিডকোর নেই। এই মর্মে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। স্পষ্ট জানায়, রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ রাজ্যের যে কোনও জায়গায় কাজ করতেই পারে। এতে ভুল কী আছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। ৭ জুলাই রথযাত্রা। এই রায়ের ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়, যে হয়ত রথের দিনই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার খুলবে। কেউ কেউ আবার বলেন, এ বছরই হয়ত একেবারে পুরীর আদলে রথযাত্রাও হতে পারে দিঘায়।
আরও পড়ুন: হাথরসে মৃতদের পরিবারের পাশে রাহুল, মোদির সমালোচনায় বিরোধীরা
এদিন সব জল্পনায় জল ঢেলে দিঘার মন্দিরের রথযাত্রার দিন জানিয়ে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,
“আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুরীর ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ মন্দিরের অনুরূপে পশ্চিমবঙ্গে দীঘায় আমরা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার একটি গর্ব-উদ্দীপক মন্দির তৈরি করছি যেখানে প্রতিবছর রথযাত্রাও পালিত হবে। আগামী বছর থেকেই এই মন্দিরে রথের রশিতে টান পড়বে।
কিছু অন্যরকম কথা শোনা গেলেও প্রকৃত বাস্তব হল, কিছু কারিগরি কাজ ও পদ্ধতি এখনো অসম্পূর্ণ থাকায় আমরা আগামী বছর থেকেই দীঘায় রথযাত্রা পালন করব। পুরীর মন্দিরের রথযাত্রা যেভাবে পালিত হয় সেভাবেই ভক্তি ও শ্রদ্ধায় পালিত হবে দীঘার রথযাত্রা। সবাই সেখানে আমন্ত্রিত। এই নূতন মন্দির ও উৎসব হবে সারা ভারতের নতুন সম্প্রীতি-সাধনের প্রকল্প।“
বাঙালির অন্যতম পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। সেই সৈকত শহরেই ২০০ কোটি টাকা খরচে ২২ একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে জগন্নাথ মন্দির, যা পুরোপুরি বাঙালির জনপ্রিয় তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে।