দাউদের খোঁজে দুবাইয়ে এনআইএ

গত বছর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাউদ ইব্রাহিম ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে।

Must read

নয়াদিল্লি : কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুবাইয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলকে পাঠিয়েছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএর এক সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলটি দুবাই প্রশাসনের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিম ও ডি- কোম্পানি সম্পর্কে কথা বলবে। দুবাই থেকেই ভারতবিরোধী ও জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালিত হয় দাউদ ইব্রাহিমের মাধ্যমে। তাই দলটি সেদেশে দাউদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করবে। এই দলে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তারা আছেন।

আরও পড়ুন-আদানির বিরুদ্ধে এক দশক আগের জালিয়াতি মামলা নিয়ে তৎপরতা

সূত্রটি বলেছে, দাউদ ও ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মামলার তদন্তের পরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অনেক অভিযুক্তের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থা বিদেশি তদন্তকারী সংস্থার সাহায্যও নিতে পারে।

আরও পড়ুন-ধার করেই ধারের বোঝা নামাতে চায় আদানিরা

গত বছর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাউদ ইব্রাহিম ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে। এনআইএর দল দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। আগামী দিনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে এনআইএ বলছে, মুম্বই হামলায় মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে লুকিয়ে থেকে দাউদ ইব্রাহিম ও তার আন্ডারওয়ার্ল্ড কোম্পানি সন্ত্রাসবাদ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তাই বিষয়টির গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদন্ত এনআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছিল। মুম্বই হামলা সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মুম্বই-সহ অনেক জায়গা থেকে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-হাতির হামলায় জখম শিশুর পাশে বীরবাহা

এদিকে গত মাসে দাউদ ইব্রাহিমের ভাগনে ও হাসিনা পারকারের ছেলে আলিশাহ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দাবি করেছেন, প্রথম স্ত্রী মেজাবিনের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই পাকিস্তানি এক পাঠান নারীকে বিয়ে করেছে দাউদ। দাউদ ইব্রাহিমের পারিবারিক উত্তরাধিকার তুলে ধরে আলিশাহ বলেন, এই গ্যাংস্টারের স্ত্রী হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দাউদ ইব্রাহিম ঠিকানা পরিবর্তন করে বর্তমানে করাচির আবদুল্লাহ গাজি বাবা দরগাহর পেছনে রহিম ফাকির নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলাকায় থাকছে।

Latest article