দমদম এবং শহিদ ক্ষুদিরামের অর্থাৎ ব্লু লাইন মধ্যে রাতের পরিষেবা এবার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। যাত্রী চাহিদার কথা চিন্তা করেই এক বছর আগে এই পরিষেবা চালু করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আর সেই পরিষেবা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন-সমুদ্রে স্নান করতে নেমে প্রাণ হারালেন আলিপুর আদালতের আইনজীবী
মেট্রো কলকাতা শহরের ‘লাইফলাইন’। যানজট এড়াতে বহু মানুষ মেট্রোকেই বেছে নেয়। পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলেও মেট্রোই ভরসা ছিল। যাত্রীদের সুবিধার জন্যই বছরখানেক আগে ব্লু লাইনের পরিষেবা রাত পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত বছর জুন মাসে মেট্রোর তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ব্লু লাইনে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১টায়। শেষ পরিষেবাটি চলবে দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে। কিছুদিন পরে মেট্রোর তরফে জানানো হয় বিশেষ পরিষেবার সময়সূচি বদল করা হচ্ছে। বলা হয়েছিল রাত ১১টার পরিবর্তে দমদম এবং কবি সুভাষ স্টেশন থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচি মেনে কয়েক দিন মেট্রো চললেও আয় ব্যয়ের ‘ক্ষতিপূরণ’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। ঠিক হয় রাতের বিশেষ মেট্রোর ভাড়া বাড়ানো হবে। বিবৃতি জারি করে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, প্রতি টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ টাকা সারচার্জ যোগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে শেষ মেট্রোর ভাড়া ১০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-স্কোয়াল ফ্রন্ট এবং নিম্নচাপের জোড়া-ফলা, সতর্কতা দক্ষিণে
যদিও সময়ের ব্যবধান নিয়ে অভিযোগ থাকলেও পুরোপুরি রাত্রিকালীন বিশেষ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে, সেটা ভাবনার অতীত ছিল। প্রসঙ্গত, রাত্রিকালীন মেট্রো পরিষেবা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরও হয়েছিল। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে কলকাতার মেট্রো পরিষেবা নিয়ে আফসোস করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। প্রশ্ন উঠেছিল দেশের অন্যান্য বড় শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা থাকলে কলকাতাতে কেন নয়? মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য বলা হয়েছিল। তবে পরিষেবা তো দূর উল্টে রাত্রিকালীন পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।