প্রতিবেদন: কার্যত সুতোয় ঝুলছে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya case) ভাগ্য। ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার পরিবার তাঁকে বাঁচাতে ক্ষমার আবেদন করলেও মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গত মাসে ইয়েমেনের আল-হুতি সরকার নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত থাকলেও প্রবল টানাপোড়েন অব্যাহত।
আরও পড়ুন-এসআইআরের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়া (Nimisha Priya case) ২০১৭ সালে ইয়েমেনীয় নাগরিক তালাল আব্দো মাহদীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন। প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ১৬ জুলাই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সেদিন তা স্থগিত হওয়ার পর কেরলের মুসলিম ধর্মীয় নেতা এবং অল ইন্ডিয়া জামিয়াতুল উলামা-এর সাধারণ সম্পাদক কান্থাপুরম এ পি আবু বকর মুসলিয়ার দাবি করেছিলেন যে তাঁর হস্তক্ষেপেই এই স্থগিতাদেশ সম্ভব হয়েছে। গত সপ্তাহে কান্থাপুরমের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। যদিও পরে সেই দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে এই অচলাবস্থার সোমবার নিহত তালালের ভাই আবদুল ফাতাহ মেহদি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমরা কান্থাপুরম বা হাবিব ওমর ইবন হাফিজের কার্যালয়ের সঙ্গে তালাল-এর পরিবারের কোনও সদস্যের সরাসরি বা অন্য কোনও মাধ্যমে সাক্ষাৎ বা আলোচনার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। ইসলাম হল সত্যের ধর্ম, বিকৃতি বা মিথ্যাচারের নয়। যদি খবরটি সত্যি হত, তবে আমরাই প্রথম তা ঘোষণা করতাম। কান্থাপুরম একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে তাঁর এই প্রচেষ্টা কেবল কর্তব্যবোধ থেকেই, কোনও স্বীকৃতির জন্য নয়। এই মন্তব্যের একদিন পরেই তালালের ভাইয়ের এই প্রতিক্রিয়া এল। এর আগে কান্থাপুরম বলেছিলেন যে ইয়েমেনের সুফি নেতা শেখ হাবিব ওমর বিন হাফিজ-এর প্রতিনিধিরা তালালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং এর ফলেই প্রিয়ার সাজা স্থগিত হয়েছে। তালালের ভাই এখন সেই দাবি অস্বীকার করেছেন। মাত্র দু’দিন আগে তালালের ভাই বলেছিলেন যে তিনি প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষের কাছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ নির্ধারণের জন্য আবেদন করেছেন, কারণ ‘প্রতিশোধের কোনও বিকল্প নেই’। এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রক কান্থাপুরমের ভূমিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত মাসে বলেছিলেন, যে সংস্থার ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমার কাছে জানানোর মতো কোনও তথ্য নেই।