প্রতিবেদন : কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট না করে বাংলায় একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথে পা বাড়িয়েছে পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টিও। সে-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান স্পষ্ট বলেছেন, কংগ্রেসকে ছাড়াই পাঞ্জাবের লোকসভা ভোটে একা জেতার ক্ষমতা রাখে আপ। কংগ্রেসের ভুমিকা নিয়ে তৃণমূল, আপের পর এবার অসন্তোষ জানাচ্ছে বিহারের শাসক দল জেডিইউ। বিহারেও এবার ইন্ডিয়া জোট ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে। পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও করেছেন। নীতীশের গতিপ্রকৃতি দেখে অনেকের প্রশ্ন, ফের কি এনডিএতে ফিরতে চলেছেন নীতীশ? একইসঙ্গে বিভিন্ন অবিজেপি দলের প্রতি কংগ্রেসের ভূমিকা দেখে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-রামচরিতমানস বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিল সপা নেতা মৌর্যকে
মঙ্গলবারই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংরক্ষণ আন্দোলনের হোতা কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই ঘোষণার পর কংগ্রেসের সমালোচনা করে কেন্দ্রের প্রশস্তি শুরু করেন নীতীশ। বুধবার পাটনায় কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেডিইউ-এর আয়োজিত সভায় উপস্থিত হয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে ইউপিএ সরকারকে একাধিকবার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা তা মানেনি। একইসঙ্গে নাম না করে পরিবারতন্ত্র নিয়েও কংগ্রেসকে তোপ দাগেন নীতীশ। কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য মোদির প্রশংসাও করেন। নীতীশ বলেন, ‘‘২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসায় পর থেকেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে (ভারতরত্নের) আবেদন করে আসছি। শেষ পর্যন্ত বর্তমান সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।’’ মোদির প্রশংসার পরই প্রশ্ন উঠছে লোকসভা ভোটের আগে কি ফের জোটবদল করবেন নীতীশ?