আজব যুক্তি নীতীশের পুলিশের! গরমে চাষবাস থাকে না বলেই খুন বেশি হয়

তার মধ্যেই পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের এহেন মন্তব্যে রীতিমত তাজ্জব হয়ে গিয়েছে দেশবাসী।

Must read

কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিক খুনের ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় বিহার (Bihar)। এই অবস্থায় বিহার পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের মন্তব্যে ফের রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠল। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাসে খুনের ঘটনা বেশি ঘটার কারণ এই সময়ে কৃষকদের চাষের কাজ খুব বেশি থাকে না। বৃষ্টি নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যায় আর সেই সময়ে কৃষকসমাজ চাষের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অতএব স্বাভাবিকভাবেই অপরাধ অনেকাংশে কমে যায়। বিহার পুলিশের এডিজি (হেডকোয়ার্টার) কুন্দন কৃষ্ণন নিজের বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি বিহারজুড়ে অসংখ্য খুন হয়েছে। সাধারণত এপ্রিল, মে, জুন, এই তিন মাসেই সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটে। বর্ষা আসা পর্যন্ত চলতে থাকে এই অপরাধপ্রবণতা। কৃষকদের ততদিন বিশেষ কাজ থাকে না। বর্ষা নামার পরে তাঁরা আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন এই ধরনের অপরাধ অনেকটাই কমে যায়। তাঁর এই কৃষিকাজের অভাবকে খুনের কারণ হিসেবে ব্যক্ত করাকে একপ্রকার দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করা হচ্ছে দেশজুড়ে।

আরও পড়ুন-পাথর ছিটকে এসে মৃত্যু পুণ্যার্থীর, সাময়িকভাবে স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

যদিও এখানেই নিজের বক্তব্যে ইতি টানেন নি কুন্দন কৃষ্ণন। তিনি বলেন, বিহারজুড়ে খুন তো হয়েই চলেছে। ঘটনা ঘটছে কিন্তু মিডিয়াতে বারবার একটার পর একটা শুধু খুনের খবর দেখানো হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভাবেই। নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলেই রাজনৈতিক দলগুলি অপরাধেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিহারে একের পর এক খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। কিছুদিন আগেই পাটনায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা। অন্যদিকে, বিজেপির প্রাক্তন কিষাণ মোর্চা সভাপতি সুরেন্দ্র কেওয়াতকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার আইসিইউ-তে ঢুকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পর পর এতগুলো ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষও। তার মধ্যেই পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের এহেন মন্তব্যে রীতিমত তাজ্জব হয়ে গিয়েছে দেশবাসী।

 

Latest article