প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের সময় থেকেই জল্পনা ছিল। এবার কি তাহলে জেডিইউ-র রাজনৈতিক ব্যাটন হাতে নিতে চলেছেন নীতীশ কুমারের পুত্র নিশান্ত কুমার? ৪৯ বছরের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিশান্তের লো-প্রোফাইল, বিচক্ষণতা ও ধৈর্য ধরে যেকোনও সমস্যা শোনার ভাবমূর্তি দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন জেডিইউ-র একাধিক প্রবীণ নেতা। তাঁদের মতে, জাতীয় ও বিহারের রাজনীতিতে নীতীশের যে প্রভাব রয়েছে তার সুফল ধরে রাখতে দলের নতুন প্রজন্মকে সামনের সারিতে তুলে আনতেই হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষিত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, ধীরস্থির মেজাজের নিশান্ত কুমার দলের জন্য বড় বাজি হতে পারেন।
আরও পড়ুন-বাংলার নাম পরিবর্তন নিয়ে বলতে গিয়ে মাইক বন্ধ করা হল দোলার
দলের একাংশে তাঁর নেতৃত্বের দাবি জোরালো হওয়ার পর স্বয়ং নীতীশপুত্র কী বলছেন? সম্প্রতি পাটনায় এক বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ব্লুটুথ কিনতে এসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। সেখানে তাঁকে বাবার দলে যোগদান ও সক্রিয় রাজনীতি করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বরাবর প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা নিশান্ত কিন্তু রাজনীতিতে যোগদানের এই প্রশ্ন উড়িয়ে জানিয়েছেন, আধ্যাত্মিক পথই তাঁর পছন্দ। আগ্রহ অধ্যাত্মচর্চায়। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আপাতত তিনি ভাবছেন না। রাজনীতিতে নিশান্তের প্রকাশ্য এই অনীহা প্রকাশের পর জেডিইউতে প্রশ্ন উঠেছে, নীতীশের জায়গায় তাহলে কে? কারণ ৭৩ বছরের নীতীশের উত্তরাধিকারী ঠিক করতে না পারলে দলের ক্ষয়িষ্ণু জনভিত্তি আরও ধাক্কা খাবে। আর নীতীশ কুমারের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন পর্যবেক্ষণ করা বিহারের প্রবীণ সাংবাদিকরা বলছেন, ছেলেকে রাজনীতিতে আনতে চাইবেন না নীতীশ। কারণ তিনি বরাবর পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কট্টর সমালোচক। যদিও বাবা-ছেলের আগ্রহ না থাকলেও নিশান্ত কুমারকে নিয়ে বিহারের রাজনীতিতে জল্পনা থামছে না।