প্রতিবেদন: মিলল না জামিন। এখনও জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভু। বিচারের নামে প্রহসন বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম আদালতে বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে গেল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা। এদিন বহুপ্রতীক্ষিত মামলাটি চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতে উঠলেও জামিন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছিল। প্রায় আধঘণ্টা শুনানি শেষে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার দাবি মেনে বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিন আবেদন খারিজ করেন।
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের হোটেলের সামনে টেসলার গাড়িতে বিস্ফোরণ
ইউনুস প্রশাসনের চাপের মুখে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ধৃত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও প্রহসনের বিচারপর্বে আদালত চত্বরে ভারতবিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি জামিন না দেওয়ার দাবি জানাতে দেখা যায় জামাতপন্থী আইনজীবীদের। আর এই পক্ষপাতদুষ্ট পরিবেশে স্বাধীন বিচারের আশা যে ক্রমশ বিলীন হচ্ছে, সেই চিত্র এদিন আবার দেখা গেল। এদিকে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবীর একটি দল চট্টগ্রামে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার তাঁরাই চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের হয়ে সওয়াল করেন। আদালত চত্বরে চিন্ময়প্রভুর হয়ে দাঁড়ানো আইনজীবীদের উদ্দেশে ক্রমাগত প্রাণের হুমকি দেওয়া হয়। শুনানি শেষে ওই ১১ আইনজীবীকে কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে আদালত ছাড়তে হয়। এদিন চিন্ময়প্রভুর আইনজীবীরা আদালতে জানান, চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ, এই মামলায় গুরুতর পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া কেউ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে পারেন না। অন্যদিকে, সরকারপক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা একেবারেই জামিন-অযোগ্য। তাই জামিনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
আরও পড়ুন-নীতীশকে নিয়ে লালুর মন্তব্যে নতুন জল্পনা
এছাড়াও চিন্ময়কৃষ্ণের নামে দেশদ্রোহিতা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলায় রয়েছে। পুলিশি তদন্ত শেষ হয়নি। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীদের। অর্থাৎ ইউনুস প্রশাসন যে চিন্ময়প্রভুকে জোর করে জেলবন্দি করে রাখতে চাইছে, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। চট্টগ্রাম আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন চিন্ময়প্রভুর আইনজীবীরা।