প্রতিবেদন : শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে’। ব্যাপারটা তাইই। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আটকাতে জারি করা ১৪৪ ধারা নিজেই ভেঙেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব । তাই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেবে না। কেননা তিনিই বলেছেন, সে রাজ্যে তিনিই আইন, তিনিই কানুন৷ তিনি যা বলবেন তাই হবে। পুলিশও তাই করবে। আইন-আদালত কি বলল তাতে কী যায় আাসে।
হলও তাই। সোমবার বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে পূর্ব আগরতলা থানায় দলের তরফে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মামুন খান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন জানালে, থানায় উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা অভিযোগ তো নেননি বরং অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। ফোন কেড়ে নেন। অফিসাররা যুক্তি দিতে থাকেন, ইনডোর মিটিং করতে বাধা নেই। সঙ্গে সঙ্গেই মামুন খানরা অর্ডার কপি দেখিয়ে বলেন, ইনডোর- আউটডোর কোথাও মিটিং মিছিল করা যাবে না বলা রয়েছে।
আরও পড়ুন : কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারত বনধ
উল্লেখ্য, রবিবার বনমালিপুরে দলের একটি কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে বক্তৃতা করতে উঠে রাজ্যের আইন- আদালতকে কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দেন। এরপর আর কোনও যুক্তিতেই না পেরে শেষে পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূল নেতৃত্বকে বসিয়ে রখে উধাও হয়ে যান৷ খানিক পরে থানার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে পারবেন না।
একঘন্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশকে নানা ভাবে বলার পরও তাঁরা কোনও কথাতেই কান দেননি। তৃণমূল নেতা মামুন খান বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যেমন তাঁর সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙেছেন, একইসঙ্গে ত্রিপুরা হাই কোর্টকে সরকারের তরফে হলফনামা দিয়ে যে ১৪৪ ধারার কথা জানিয়েছিল, সেটিও ভেঙেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বিপ্লব দেবের পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় অনলাইনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।