প্রতিবেদন : সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিনে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিলেন এডিজি(আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন, গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, গত দু’-তিনদিন ধরে সন্দেশখালিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ৮ জনকে। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে তা পুলিশকে জানালে, সেটা নিয়ে যথাযথ তদন্ত করবে পুলিশ। গত তিনদিনে যে ঘটনা ঘটেছে তারও সঠিক তদন্ত হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনার জবাব দেবে বাংলা, আজ ধরনায় উঃ ২৪ পরগনা
এডিজির কথায়, ওখানে এখন পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এদিকে এদিনই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সন্দেশখালির সাম্প্রতিক অশান্তির নেপথ্যে রাম-বামের যৌথ চক্রান্তের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে বিজেপি এবং সিপিএম এই গন্ডগোলে উসকানি দিয়েছে। পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, সন্দেশখালির ১৪টি অঞ্চলের মধ্যে একটি অঞ্চলে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে। মূলত সিপিএম প্রভাবিত পঞ্চায়েত এলাকা। বিজেপির সঙ্গে সিপিএম গোপনে হাত মিলিয়ে সেখানে উসকানি দিচ্ছে। তবে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। তাঁর কথায়, ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম-বামেরা রাজ্যে অশান্তি পাকিয়ে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু আসলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে ওরা। এভাবে স্তব্ধ করা যাবে না কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথায়, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ২১ লক্ষ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন তাঁদের প্রাপ্য টাকা। এতেই গাত্রদাহ হচ্ছে ওদের।