নয়াদিল্লি: ভয়াবহ বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার থেকে দেশের জাতীয় রাজধানীতে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। এর ফলে বিএস-সিক্স নির্গমন মানদণ্ডের নিচে থাকা দিল্লির বাইরের ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং ‘নো পিইউসি, নো ফুয়েল’ (No PUC No Fuel) নিয়ম কঠোরভাবে বলবৎ করা হয়েছে। বিষাক্ত ধোঁয়াশা ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লির সড়কে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যান চলাচল ও বিমান পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৈধ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট না থাকলে দিল্লির কোনও পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি পাওয়া যাবে না। এই নিয়ম কার্যকর করতে স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা এবং পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভয়েস অ্যালার্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ১২৬টি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট ও সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৫৮০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবহণ দফতরের বিশেষ দলও পেট্রোল পাম্পগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে। তবে এই বিধিনিষেধ সিএনজি ও বৈদ্যুতিক যানবাহন, গণপরিবহণ এবং জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে শিথিল রাখা হয়েছে। কঠোর গ্র্যাপ-ফোর বিধিনিষেধের কারণে নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা এর আগে জানিয়েছিলেন যে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত যানবাহনের ধোঁয়া থেকে হওয়া দূষণ রোধ করতেই এই প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারির পথে হেঁটেছে প্রশাসন। শীতের শুরুতে দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে যাওয়ায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এই পদক্ষেপগুলোকে জরুরি বলে মনে করছে সরকার। এর আগে আপ সরকারের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছিল রাজ্য সরকার। তাদের সাফাই ছিল, মাত্র দশমাসে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। সর্বস্তরে সমালোচনার মুখে এবার রাজধানীতে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধনের প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব, উত্তপ্ত অধিবেশন

