সরকার বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শনিবার (স্থানীয় সময়) রাস্তায় নামলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এইচ-১-বি ভিসার জন্য বড়সড় অঙ্কের টাকা, অভিবাসীদের সরাতে সেনা নামানো, কর্মী ছাঁটাই, শুল্কনীতি-সহ একাধিক বিষয়ে ক্ষুব্ধ মার্কিনিরা। মার্কিনিদের আন্দোলনের একটাই স্বর ‘নো কিংস’ (‘No Kings’ protests)। আমেরিকায় কোনও রাজা নেই।
নাগরিক সংগঠন ‘নো কিংস’-এর ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ পথে নেমেছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি, সবমিলিয়ে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছিল আমেরিকার রাস্তায়। মাত্র কয়েকমাসেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকাবাসীদের এই ক্ষোভ চিন্তা বাড়িয়েছে রিপাবলিকানদের। ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তপ্ত হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, মায়ামি, লস অ্যাঞ্জেলস-সহ একাধিক জায়গায়। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যার মুখী প্রত্যেকটি রাস্তায় মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো। হাতে প্ল্যাকার্ড, ট্রাম্পের কুশপুতুলও ছিল। স্লোগান ওঠে, ‘ডেমোক্র্যাসি নট মনার্কি’ (গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র নয়), ‘দ্য কনস্টিটিউশন ইজ নট অপশনাল’।
আরও পড়ুন-বড়মা বীণাপাণি দেবীর জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘নো কিংস’ সংগঠনের (‘No Kings’ protests) ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ভাবেন তাঁর রাজত্বই সর্বশ্রেষ্ঠ। মনে রাখতে হবে, আমেরিকায় কোনও রাজা নেই। আর আমরা কোনও বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি এবং নিষ্ঠুরতা সহ্য করব না।’ তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমল দিতে নারাজ। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে একটি এআই জেনারেটেড ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে ট্রাম্পকে মাথায় রাজার মুকুট পরে একটি যুদ্ধবিমানে করে উড়তে দেখা যাচ্ছে। সেই যুদ্ধবিমানটির নাম ‘কিং ট্রাম্প।’ সেই যুদ্ধবিমানটি থেকে বিক্ষোভকারীদের মাথায় বর্জ্যপদার্থ ফেলছেন ট্রাম্প। সেটাই এআই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
আমেরিকা যখন বিক্ষোভে উত্তাল, ট্রাম্প ফ্লোরিডায় নিজের বিলাসবহুল Mar-a-Lago হোটেলে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাচ্ছেন। ট্রাম্প এবং তাঁর অনুগামীদের দাবি, ডেমোক্র্যাটরা আন্দোলনে উস্কানি জুগিয়েছেন। এই বিক্ষোভে চরম বামপন্থীদেরও হাত দেখছেন তাঁরা। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, আমেরিকায় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন ট্রাম্প।
চলতি বছরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্টের গদিতে দ্বিতীয়বারের বসেছেন ট্রাম্প। এক বছর পূর্তির আগেই তিন-তিনটি গণ আন্দোলনের সম্মুখীন হলেন। এর আগে জুন মাসই আমেরিকার ২১০০টি জায়গায় ‘নো কিংস’ আন্দোলন সংঘটিত হয়।