নাম নেই বাবা-মায়ের, এসআইআরের বলি ছেলে

এসআইআর-আতঙ্কে ফের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। মৃতের নাম বাবলু হেমব্রম (৪৫)।

Must read

প্রতিবেদন : এসআইআর-আতঙ্কে ফের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। মৃতের নাম বাবলু হেমব্রম (৪৫)। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবলু এবং তাঁর বাবা-মায়ের কারও নাম নেই। জানার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন তিনি। তার জেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যু হয় বাবলুর। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি।
বিধায়ক জানিয়েছেন, বাবলু হেমব্রম এবং তাঁর পরিবার এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বিজেপিকেও একহাত নেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কথায়, যেভাবে এসআইআর নিয়ে বিজেপি বিষাক্ত প্রচার করছে তাতে মানুষ আতঙ্কে।

আরও পড়ুন-ধরে নিন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, কোনও শৈথিল্য নয় : অভিষেক

এই ঘটনা তারই প্রতিফলন বলেও দাবি অজিত মাইতির। জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর বাবলু হেমব্রম পিংলা বিধানসভার খড়্গপুর দুই ব্লকের কালিয়ারা (৫/১) গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ নম্বর বুথের দক্ষিণ ঢেকিয়ার বাসিন্দা। গত বছরই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীয়ের। চার সন্তান এবং বৃদ্ধ মাকে নিয়েই থাকতেন বাবলু। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় পরিবারের কারও নাম নেই। যা নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলেন। বারবার বলতেন, আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে না তো! সেই আতঙ্কেই রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাবলুর। আজ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই একের পর মৃত্যুর খবর আসছে। ভিটে-মাটি হারানোর আতঙ্কে মৃত্যুর খবর এসেছে সাধারণ মানুষের। শুধু তাই নয়, এসআইআয়ের অধিক কাজের চাপে একের এক বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন। মানসিক চাপেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। শুধু রাজ্যেই নয় বিজেপির রাজ্যেও এসআইারের কাজের চাপে একের পর এক বিএলওর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশন এত মৃত্যুর দায় নেবে তো?

Latest article