প্রতিবেদন : আমরা ভারতের ভূখণ্ডের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলতে পারি না। কারণ এটি মূলত দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীদের জন্য সতর্কতার একটি নোট জারি করে একথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ভি শ্রীশানন্দ একটি মামলার শুনানির সময় বেঙ্গালুরুর একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বিচারপতির ওই বিতর্কিত বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে শুনানি শুরু করে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই, সূর্যকান্ত এবং হৃষিকেশ রায়ের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ ঘোষণা করে বলেছে, বিচারপতি ও আইনজীবীরা দায়িত্ব পালনের সময় তাঁদের ব্যক্তিগত পক্ষপাত যেন প্রতিফলিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-ফের বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, তৎপর প্রশাসন
হাইকোর্টের বিচারপতির নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার বিষয়টি নোট করে বেঞ্চ শুরু হওয়া স্বতঃপ্রণোদিত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, বিচারপতি বা আইনজীবীদের এই নৈমিত্তিক পর্যবেক্ষণ ব্যক্তিগত পক্ষপাতের ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে যখন একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের দিকে নির্দেশিত বলে মনে করা হয়। সুতরাং সবাইকে অবশ্যই পুরুষতান্ত্রিক বা অসামাজিক মন্তব্য করা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এই ধরনের পর্যবেক্ষণগুলি একটি নেতিবাচক বিষয়কে বোঝানোর জন্য দায়ী। আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলি পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই পালন করা হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিচারপতির যে কোনও পর্যবেক্ষণ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, এবং সেকারণে বিচারপতিদের তাঁদের প্রবণতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত, যাতে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে পারেন।