প্রতিবেদন : আরজি করে মোতায়েন সিআইএসএফের থাকার জন্য সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য৷ ফলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হোঁচট খেল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অভিযোগ করেন, আরজি করে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করেনি রাজ্য৷ এই কারণে ১২ কিলোমিটার দূর থেকে ডিউটি করতে প্রবল অসুবিধের মুখে পড়তে হচ্ছে জওয়ানদের৷ তুষার মেহতার অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল নথি পেশ করে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার জন্য কেএমসিপি স্কুল, ইন্দিরা মৈত্রী শিশু কল্যাণ হাসপাতাল এবং রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসারদের জন্য নির্ধারিত তিনটি ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে৷ আরএমও কোয়ার্টারে সিআইএসএফ-কে থাকতে দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ৪০ জনকে কেএমসিপি স্কুলে, ইন্দিরা মৈত্রীতে ৩০ জন এবং আরএমও ফ্ল্যাটে আরও ৩০ জন জওয়ানের থাকার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। তাঁর এই বক্তব্যের পরে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, হাসপাতালে মোতায়েন জওয়ানদের থাকার যথাযথ ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন আধিকারিক এবং এক সিআইএসএফ কর্তা যুগ্মভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন৷ তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সব জওয়ানের থাকার যথাযথ ব্যবস্থা যাতে করা যায় সেটা দেখবেন। এই ঘটনা নিয়ে কোনও রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না, সাফ জানান প্রধান বিচারপতি৷
আরও পড়ুন-১৭-য় আবার শুনানি, জমা স্ট্যাটাস রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রকেও দায়িত্ব নিতে হবে৷ সবটাই রাজ্য সরকারের উপরে চাপিয়ে দিয়ে মিথ্যে কথা বলা হবে রাজ্যের নামে, তা বরদাস্ত করা হবে না৷ আমরা তিনটি জায়গা দিয়েছি ওদের থাকার জন্য৷ আপনারা রোজই সংখ্যা বাড়াচ্ছেন, বাংলাকে গ্রাস করতে চাইছেন৷ পুলিশের হাত থেকে সবটাই কেড়ে নিতে চাইছেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে৷ সঙ্গে কয়েকটি বামপন্থী দলও আছে৷ তারাও এই চক্রান্তে শামিল৷ যেহেতু আমরা পাল্টা কিছু করছি না, সেহেতু একতরফাভাবে সব করে যাচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই করা হবে সব কাজ৷