অনুরাধা রায়: চা-বলয়ে যে এবার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে বিরোধীরা, লোকসভা নির্বাচনের ফল তারই পূর্বাভাস দিল। মুখ্যমন্ত্রীর বিপুল উন্নয়নের ফলে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙের চা-বলয়ের বুথগুলিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়িতে ৪৮৩টি বুথের মধ্যে ২৪৪টি আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। দার্জিলিঙ সমতলে মোট বুথ ৭১টি। এর মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করেছে ৩৮টিতেই। ২০১৯ সালে চা-বলয়কে ঠকিয়ে ভোট কিনেছিল বিরোধীরা কিন্তু এবার জবাব দিলেন শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন-পুকুরে ইলিশচাষ, তিন বছরে ৭০০ গ্রামের মাছ
মোদি সরকার একের পর এক বঞ্চনা করেছে শ্রমিকদের প্রতি। কেন্দ্রের অধীনে থাকা চা-বাগানগুলিতে শ্রমিকদের পিএফ পর্যন্ত জমা করা হয়নি। বিজেপির প্ররোচনায় একের পর এক বাগান বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ। তৃণমূল পাশে দাঁড়িয়ে চা-শ্রমিকদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে খুলেছে বন্ধ চা-বাগান। শ্রমিকদের মাথার ওপর ছাদ দিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন চা-সুন্দরীর বাড়ি। শ্রমিকদের দিয়েছেন জমির পাট্টা। চা-শ্রমিকদের শিশু সন্তানদের রাখতে রাজ্যের উদ্যোগ তৈরি হয়েছে ক্রেশ। শ্রমিকদের জন্য হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন। শ্রমিকদের দাবি আদায়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লাগাতার চলেছে আন্দোলন। চা-শ্রমিকদের আস্থা অর্জন করেই জয় এনেছে তৃণমূল। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বামেরা অবহেলা করেছে, বিজেপি বঞ্চনা করেছে একমাত্র চা-বলয়ে উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনে তাই বিরোধীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে চা-বলয়। তৃণমূলের উন্নয়ের জোয়ারে এভাবেই চা-বলয় থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বিরোধীরা। আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের উন্নয়ন বুঝেছেন চা-শ্রমিকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা-ভরসা রেখেই ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন চা-শ্রমিকেরা। এই ফলই ইঙ্গিত দিচ্ছে এরপর চা-বলয়ে বিরোধী বলে আর কিছু থাকবে না।