প্রতিবেদন : স্কুল চলাকালীন পড়ুয়াদের নিয়ে কোনও মিছিল বা রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই শনিবার নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাওড়ার তিনটি স্কুলকে শোকজ করল শিক্ষা দফতর। অভিযোগ, স্কুলগুলি পঠনপাঠনের সময় পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিলের আয়োজন করেছিল। আরও অভিযোগ, ওই মিছিলে নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদেরও শামিল করা হয়েছিল। যাদের আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাস্তবে কোনও ধারণাই নেই। এই নিয়ে ওঠা বিতর্কে এদিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, এই নির্দেশিকা নিয়ে অযথা ও অকারণে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। স্কুলগুলিকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই শোকজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই স্কুল আওয়ার্সে পঠনপাঠন ও স্কুল নির্ধারিত কর্মসূচিই শুধু চলুক। স্কুলের ছুটির পর যার যা খুশি করতে পারে তা নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয়ভাবে কোথাও বিজেপির নেতারা, কোথাও সিপিএমের নেতারা স্কুলগুলিকে পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল করতে উৎসাহ জুগিয়েছিল। কোথাও আবার বিজেপি বা সিপিএম সমর্থক বা কর্মী, স্কুলের কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের উদ্যোগে পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিল করেন। যা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এভাবে স্কুল পড়ুয়াদের— যাঁদের এই বৃহৎ সামাজিক ব্যাধি নিয়ে কোনও ধারণাই নেই তাঁদের মিছিলে টেনে আনা হচ্ছে। স্কুল চলাকালীন মিছিল করতে গিয়ে যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় কে নেবে? তখন তো আঙুল উঠবে পর্ষদের দিকেই।
আরও পড়ুন- অসমে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু