অদিতি মুন্সী: বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা মাঠে বসে দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। এতদিনে স্বপ্নপূরণ হল। তার উপর নিজের প্রিয় দল আর্জেন্টিনার জয় দেখার সৌভাগ্য। স্টেডিয়াম জুড়ে অপূর্ব মায়াবী পরিবেশ।
না, এ স্বাদের ভাগ হয় না। জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম। আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি ছাড়াও এখানে সঙ্গে এনেছি আমার প্রিয় ইস্টবেঙ্গলের লাল-হলুদ জার্সি আর অবশ্যই আমাদের জাতীয় পতাকা। তিনটি জার্সি নিয়েই মাঠে গিয়েছিলাম। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলাম লিওনেল মেসিদের দুর্দান্ত জয়। মেসি পেনাল্টি নষ্ট করার পর একটু মুষড়ে পড়ি। কিন্তু এর পর কী খেলাটাই না খেলল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের পর অনেক রাত পর্যন্ত আমরা খুব আনন্দ করলাম। আশা করি, মেসির হাতে কাপ উঠবে। বড় করে সেলিব্রেট করব। এখানে আমার সঙ্গে দেবরাজ তো আছেই, কয়েক জন পরিচিতকেও সঙ্গে পেয়েছি। তাই আমাদের ফুটবল আড্ডাও জমজমাট।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে তৃতীয়বার মহিলা বিচারপতির বেঞ্চ শুনল ৩২টি মামলা
বিশ্বকাপ ফুটবলে আমার দেশ নেই বলে মন খারাপ করে তো থাকতে পারি না, কত ভাবেই আমাদের দেশের মানুষ ফুটবল বিশ্বকাপে জড়িয়ে আছে, এখানে এসে সেটাও দেখছি। একটা দেশ এত বড় প্রতিযোগিতার জন্য কীভাবে তৈরি হয়, সেটা কাতারে না এলে জানতেই পারতাম না। আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচটা যে স্টেডিয়ামে হল তার নাম ৯৭৪। স্টেডিয়ামের নামকরণের গল্পটা শুনে তো আমি অবাক! ৯৭৪টা জাহাজের কন্টেনার। ব্যাস, তা দিয়েই তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা স্টেডিয়াম। আর কাতারের আইএসডি কোড ৯৭৪, তাই নাম হল স্টেডিয়াম ৯৭৪। কী অদ্ভূত তাই না! আরও জেনে অবাক হলাম, বিশ্বকাপের অধিকাংশ স্টেডিয়াম অস্থায়ী বা পোর্টেবল। আমার মনে হয়, কাতার কিন্তু পথ দেখিয়েছে বাকিদের।