প্রতিবেদন : এখনও পাকিস্তানে বন্দি হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। তাঁর নিরাপদে দেশের ফেরার ক্ষীণতম সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। বিএসএফের তরফে রিষড়ায় পূর্ণমের পরিবারকে বারবার মিঠে আশ্বাস দেওয়া হলেও, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই এবার স্বামীকে ফেরাতে কলকাতা থেকে পাঠানকোট রওনা হলেন পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। সোমবার দমদম বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের বিমানে ছেলে-সহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে চণ্ডীগড় উড়ে গেলেন রজনী। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, বিএসএফের উপর আমি কোনওভাবেই আস্থা রাখতে পারছি না। ৬ দিন পেরিয়ে গেল, এখনও কোনও খোঁজখবর নেই। পাঠানকোটেও কোনও রেসপন্স না পেলে দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ব। সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে প্রয়োজনে সরকারের দরজায় দরজায় ঘুরব। আমি অন্তঃসত্ত্বা হলেও স্বামীর জন্য কষ্ট করতে রাজি আছি।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানে শান্তি কমিটির সভায় বিস্ফোরণে মৃত ৭, আহত বহু
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরদিনই পাক সেনার হাতে বন্দি হন বিএসএফের ১৮২ ব্যাটালিয়নের হেড কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ। ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পাক রেঞ্জাররা তাঁকে আটক করে। তারপর থেকেই পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে বিএসএফ। হুগলির রিষড়ায় পূর্ণমের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করে আশ্বাস দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। রবিবারও রিষড়ার বাড়িতে গিয়ে পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ ও স্ত্রী রজনীর সঙ্গে কথা বলেন বিএসএফ আধিকারিকরা। তবে স্বাভাবিকভাবে ৪-৫ দিন কেটে যাওয়ার পরও পূর্ণমের কোনও খোঁজখবর না থাকায় বিএসএফের উপর ভরসা হারিয়েছে জওয়ানের পরিবার। তাই সোমবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চণ্ডীগড় রওনা দিলেন পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। সেখান থেকে তাঁরা যাবেন পাঠানকোটের বিএসএফ সদর দফতরে। সেখানেই পূর্ণমের পোস্টিং ছিল। সেখানে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার আবেদন জানাবেন।