সুদেষ্ণা ঘোষাল, নয়াদিল্লি: শক্তির আরাধনায় মেতে উঠেছে দিল্লি। মেতে উঠেছে প্রবাসী বাঙালি। দিল্লি-এনসিআরে কালীপুজোর মূল আকর্ষণ বলতে বিভিন্ন প্রান্তের কালীবাড়িগুলি। সারা বছরই মঙ্গলারতি, সন্ধ্যারতির ঘণ্টার ধ্বনিতে মুখর হয়ে থাকে মন্দির চত্বর। তবে কালীপুজোর দিনটিতে অবশ্যই একটু ব্যতিক্রমী ভাবনা, আয়োজন। ৪১ বছরের পুরনো নয়ডার কালীবাড়িতে পুজিত হন ‘ভবতারিণী মা’। এবারেও আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পুজোর।
আরও পড়ুন-ব্রহ্মপুত্র আবাসনে আগুন, তৃণমূলের সুরে বিজেপিকে কটাক্ষ কেজরিওয়ালের
আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে কালীবাড়ি। কালীপুজো মানেই এখানে বাঙালিদের গেট টুগেদার। হাসি, আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া। দীর্ঘদিন, দীর্ঘসময় ধরে একইভাবে নিয়মরীতি মেনে শক্তির আরধনা করে আসছে নয়ডা বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। এই কালীবাড়ির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারা নিজেরা বছরের পর বছর চাঁদা সংগ্রহ করে শ্বেতপাথরের মন্দির গড়ে তুলেছেন। এই মন্দিরেই মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সারাবছর ধরে হয় মা কালিকার পূজো। কিন্তু দ্বীপান্বিতা অমামস্যায় পুজোয় ভবতারিণী সেজে ওঠেন নবরূপে। একশো আটটা জবা ফুলের মালা কালিকাদেবীকে নিবেদন করবেন ভক্তরা। মূলত দীপান্বিতা অমাবস্যায় বেনারসি শাড়ি পরিয়ে দেওয়া হবে মাকে। পরিয়ে দেওয়া হবে গহনা। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। আজ, সোমবার সকাল থেকেই ঢল নামবে ভক্তদের। এবছর ভবতারিণী মায়ের মূল পূজো দীপান্বিতা অমবস্যার তিথি অনুযায়ী রাত এগারোটা থেকে শুরু হবে। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে পুজো নিবেদনের পালা। চলবে নিশুতি রাত পর্যন্ত। শেষে ভোগ নিবেদনের পালা। মায়ের ভোগ প্রসাদ সর্বসাধারণের মধ্যে বিতরণেও আন্তরিকতার ছোঁয়া। আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষের সমাগম হয় নয়ডা কালীবাড়ির কালীপুজোয়।