ট্রেনের টিকিট কেটে মিলল অস্তিত্বহীন সিট, হেনস্থা

অনলাইনে ভারতীয় রেল ও পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে থেকেই তিনি টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে উঠে তাঁর মাথায় হাত।

Must read

প্রতিবেদন : টিকিটে সুস্পষ্টভাবে আসনের নম্বর লেখা আছে। কোন ট্রেনে যাবেন, সেটাও লেখা আছে। ট্রেন কখন আসবে, কখন ছাড়বে, গন্তব্যে পৌঁছনোর সম্ভাব্য সময়-সবই টিকিটে লেখা রয়েছে। তাই ওই টিকিট হাতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রী নিশ্চিন্ত মনেই ট্রেনে উঠলেন। কিন্তু তারপর তাঁর যে অভিজ্ঞতা হল তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই অবাক করা ঘটনার সাক্ষী বিজয়কুমার শুক্লা নামে প্রয়াগরাজের এক ব্যক্তি। বিজয় কুমার নিজের এবং তাঁর ভাইয়ের জন্য লখনউ-বারাণসী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের দুটি টিকিট কাটেন।

আরও পড়ুন-পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে আসছেন শাহ

অনলাইনে ভারতীয় রেল ও পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে থেকেই তিনি টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে উঠে তাঁর মাথায় হাত। লখনউ-বারাণসী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বিজয় শুক্লা এবং তাঁর ভাইয়ের টিকিট ছিল সি ওয়ান বগিতে। তাঁদের টিকিটের নম্বর ছিল ৭৪ এবং ৭৫। অথচ যে কোচে তাঁদের টিকিট সেই কোচে আসন সংখ্যা ৭৩। ট্রেনে উঠে বসার আসন না পেয়ে বগির দায়িত্বপ্রাপ্ত টিকিট পরীক্ষককে বিজয় বিষয়টি জানান। টিকিট পরীক্ষক তাঁকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন-রক্ষীদের অত্যাচার নিয়ে চিঠি অধ্যাপকদের

ওই টিকিট পরীক্ষক আরও জানান, মাঝে-মধ্যেই নাকি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। টিকিট পরীক্ষকের এ হেন উত্তরে বিজয় ও তাঁর ভাই অবাক হন। রেলমন্ত্রকের এ-ধরনের অপদার্থতায় তারা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশও করেন। বিজয় জানান, অনেক আগে থেকে আগাম টাকা দিয়ে তাঁরা টিকিট কেটেছেন। কিন্তু তারপরও যদি তাঁদের সঙ্গে এই ধরনের পরিহাস করা হয় তবে তা কি মেনে নেওয়া সম্ভব? সমালোচনার মুখে ওই ট্রেনেই পরে বিজয়বাবু এবং তাঁর ভাইয়ের জন্য আসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে চারবাঘ রেলস্টেশনের ডিরেক্টর আশিস সিং জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। এমন ঘটনা কী করে ঘটল, খতিয়ে দেখা হবে।

Latest article