প্রতিবেদন: রাজধানী-সহ গোটা উত্তর ভারত কাঁপতে শুরু করেছে হাড়হিম ঠান্ডায়। সেইসঙ্গে জুড়ি বেঁধেছে ঘনঘোর কুয়াশা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক কমে দাঁড়িয়েছে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে, সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রি। শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার যুগলবন্দিতে রাজধানী নাজেহাল। দিল্লিতে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে যাওয়ায় শুক্রবার ২০০–এর বেশি বিমানের ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে। দেরিতে চলছে উত্তরমুখী অগুন্তি ট্রেন।
আরও পড়ুন-খালেদার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক, চাপে ইউনুস সরকার
জানুয়ারি মাসের এই শৈত্যপ্রবাহ নতুন নয়। প্রতিবছর পৌষ-মাঘ মাসে উত্তর ভারতের হাল এমনই হয়ে থাকে। এবার ডিসেম্বরের শেষে তিনদিনের বৃষ্টি, গত সাতদিন ধরে মেঘে ঢাকা আকাশ ও উত্তর থেকে বয়ে আসা হাওয়া দিল্লির ঠান্ডা অসহনীয় করে তুলেছে। কাশ্মীর থেকে শুরু করে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের শৈল শহরগুলো ঢেকে গিয়েছে বরফে। শ্রীনগরের ডাল লেক জমে বরফ। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা শূন্য ডিগ্রিতে নেমে যায়। ফলে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই যাত্রীদের সতর্ক করে জানিয়েছে, আবহাওয়ার দরুন বিমান পরিষেবা ব্যাহত হবে। একই অবস্থা ট্রেন ও সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রেও। দিল্লি হয়ে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়া জাতীয় সড়কগুলোয় এদিন গাড়ি চলে ধীরগতিতে। একই হাল ট্রেন চলাচলেও। দূরপাল্লার ২৪টি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। কুয়াশার কারণে ট্রেনের গতিও কম রাখা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমবে। থাকবে কুয়াশার দাপট। সেইসঙ্গে হবে বৃষ্টিও। দিল্লি ছাড়াও ঠান্ডা ও কুয়াশার কবলে থাকবে লখনউ, অমৃতসর ও গুয়াহাটি। হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাব মোড়া থাকবে কুয়াশায়। এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই জানুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হতে চলেছে মহাকুম্ভমেলা। প্রতি ১২ বছর অন্তর এই মেলা বসে। এবছর মহাকুম্ভে সব মিলিয়ে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমান। শীতের কারণে মহাকুম্ভে যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রচার চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের আমলে এটাই হতে চলেছে প্রথম মহাকুম্ভ।