প্রতিবেদন: পূর্বভাস ছিলই আবহাওয়া দফতরের। একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিমের (Sikkim) বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার রাত থেকে মুন্সিথাঙে একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ভূমিধসে বন্ধ একাধিক রাস্তা। ফিদাংয়ে রাতভর আটকে পর্যটকরা। চুংথাম থেকে লাচেং যাওয়ার রাস্তায় ধস নামায় অন্তত ৫০ টি গাড়ি আটকে পড়েছে। সাংকালাং সেতুর কাছেও একই ছবি। ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারতীয় সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও সিকিম পুলিশ। পরিস্থিতি যত এগোচ্ছে ততই উত্তর সিকিমের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের সব পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানে বিয়ে করতে চেয়েছিল চর-জ্যোতি
বুধবারও পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত। মঙ্গলবার রাতে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বেশ কিছু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অবস্থা এতটাই প্রতিকূল হয় যে প্রায় রাস্তাতেই রাত কাটে পর্যটকদের। বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধার কাজ। কাদামাটির ধস নেমে বিপজ্জনক হয়েছে সঙ্কলং হয়ে ফিদাং থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা। উত্তর সিকিমের মঙ্গন-চুংথাং হয়ে টুং নাগা নতুন রাস্তাও অবরুদ্ধ। আজ সারাদিন সিকিম জুড়ে বৃষ্টির যে পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর তাতে চিন্তায় প্রশাসন। এদিকে মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরু এবং গোয়াতে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।