ব্যুরো রিপোর্ট : উত্তর থেকে দক্ষিণে দাপিয়ে বেড়াল হাতির পাল। মৃত্যু হল একজনের, আহত দুই। কেড়েকুড়ে খেল খাবার। এই সময়ে খাবারের টান পড়ায় জঙ্গল থেকে প্রতি বছরই হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসে। উত্তরবঙ্গে মাল ব্লক এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আহত দু’জন। মৃতের নাম হাউলি ওরাওঁ, বয়স ৬২। বেতগুড়ি চা-বাগানের নামজি লাইনের বাসিন্দা। রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাতির সামনে পড়েন। রাঙামাটি চা-বাগান এলাকায় রিচার্ড তিরকি (২৯) ও সঞ্জয় ওরাওঁ (২৮) হাতির হামলায় আহত হন।
আরও পড়ুন : রাসচক্র ঘুরিয়ে শুরু হল রাস
সাতসকালে একটি দলছুট পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি দাপিয়ে বেড়াল ঝাড়গ্রাম ব্লকের ঝাড়গ্রাম-লোধাশুলি বাসরাস্তায়, পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কে জিতুশোল এলাকায়। খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালাল। রাস্তার পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। লোধাশুলি ও ঝাড়গ্রামের মধ্যে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বনকর্মী ও পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় হাতিটিকে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে পাঠায়। গড়শালবনি, জিতুশোল এবং জাতীয় সড়কের গজাশিমুল, বালিভাসা ইত্যাদি এলাকায় আট-ন’ মাস আগে পরপর দলছুট দাঁতালের উপদ্রব হয়।
বাঁকুড়ায় ঢুকে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ৬২ হাতির পাল। পাত্রসায়র দিয়ে ঢুকেছে। এত বড় হাতির পাল ঢোকায় সবাই আতঙ্কে নিজেদের ফসল বাঁচানো নিয়ে। বনকর্মীরা তাদের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছেন। বর্ধমান বনবিভাগের গলসিতে প্রায় ২৪টি হাতির দল ঢুকে পড়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায় সবাইকে সতর্ক থাকা ও রাতে সাবধানে চলাফেরার অনুরোধ করা হয়েছে বনবিভাগের পক্ষে। গলসি ২ নং জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছিল সমস্ত যানবাহন। রাতে জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরগামী সমস্ত যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা টর্চ নিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। লোকালয়ে যাতে ঢুকে না পড়ে তার জন্য বন দফতর হুলা পার্টিকে মোতায়েন রেখেছে।