উত্তর থেকে দক্ষিণ, সিসিটিভি নজরদারি

এছাড়া কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, পুজোর ভিড় সামলাতে এ বছর শহরে মোতায়েন করা হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী।

Must read

সঞ্জয় ঘোষাল: পুজো মানেই উৎসব, পুজো মানেই উন্মাদনা, দর্শনার্থীদের ঢল। বাঙালির বড় পুজো বলে কথা। বিশ্বজনীন বাংলার দুর্গোৎসব। তাই পুজোর নিরাপত্তায় এবার বাড়তি নজর পুলিশের। উত্তর থেকে দক্ষিণ সিসিটিভির নজরদারির ঘেরাটোপ। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না পুলিশ। কলকাতা পুলিশ তো বটেই, রাজ্য পুলিশও সদাসতর্ক। ১৮০০-র বেশি সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে পুজোর কলকাতা। কলকাতা পুলিশ শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার কড়া নির্দেশ, শহরজুড়ে নজরদারির জন্য ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে ১ হাজার ৮০০ সিসিটিভি ক্যামেরা। ট্রাফিক সিগন্যাল ও হোর্ডিংয়ের কারণে ক্যামেরা যেন ঢাকা না পড়ে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ দুর্গাপুজোর সময় অপরাধ প্রতিরোধের জন্য নির্দেশিকা জারি করে প্রতিটি থানার ওসিদের জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে নিয়মিত এবং পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪৭ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে ড্রোনের ব্যবহারও করা হবে।

আরও পড়ুন-রোদ-বৃষ্টি গায়ে মেখে মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢল

এছাড়া কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, পুজোর ভিড় সামলাতে এ বছর শহরে মোতায়েন করা হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, এছাড়া সিভিক ভলান্টিয়াররাও থাকবেন। প্রতিটি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার থেকে শুরু করে যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা টহলদারি ও নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। লালবাজারের নির্দেশে দুর্গাপুজো উপলক্ষে খোলা হচ্ছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সেখানে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বড় বড় প্যান্ডেলগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। স্থাপন করা হয়েছে ৬০টিরও বেশি ওয়াচ টাওয়ার।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এবার নজরদারিতে যেমন শহরের অলিগলিতে নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, তেমনই ক্যামেরাগুলো যেন ঢাকা না পড়ে তার জন্য ট্রাফিক গার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানা স্তরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে, ২৪X৭ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে, থাকছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথও। অর্থাৎ পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে রাস্তায়। এছাড়া জেলায় পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ তৈরি করা হচ্ছে। এবং ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারদের নেতৃত্বে পুরো জেলাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শিলিগুড়িতে ১১৪টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, এয়ার ভিউ মোডে কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে।

Latest article