যুদ্ধ শুরু ১ কোটি ৩৬ লক্ষের একটা নামও বাদ দিতে দেওয়া হবে না, কাল থেকে শুনানি কেন্দ্রে ক্যাম্প

কাল, সোমবার সকাল ৯টা থেকে প্রতিটি হিয়ারিং সেন্টারের বাইরে সহায়তা শিবির করবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

প্রতিবেদন : কাল, সোমবার সকাল ৯টা থেকে প্রতিটি হিয়ারিং সেন্টারের বাইরে সহায়তা শিবির করবে তৃণমূল কংগ্রেস। যাঁরা শুনানিতে আসবেন, তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করা হবে এই শিবির থেকে। রবিবার ১ লক্ষ ২০ হাজার দলীয় পদাধিকারিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই সহায়তা শিবিরে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। ভোটার লিস্ট হাতে নিয়ে বসবেন। যাঁরা আসছেন না দরকারে গাড়ি নিয়ে তাঁদের বাড়ি যাবেন। একজন বৈধ ভোটারের নামও যেন বাদ না যায়। এটা আপনাদের দায়িত্ব। মনে রাখবেন যেদিন থেকে এসআইআর শুরু হয়েছে বাংলায়, সেদিন থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি আমার পক্ষ থেকে ৩০ থেকে ৩২ হাজার বিএলএ-২-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, নির্বাচন কমিশন বিজেপির এক কোটি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি সংক্রান্ত দাবির বেলুনটি চুপসে দিয়েছে। সবথেকে কম নাম বাদ বাংলায় হয়েছে। এই কৃতিত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের বিএলএ-২দের। প্রায় ছ’সপ্তাহ এখনও এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন শুধু ৫৮ লক্ষ লোককে বাদ দিয়ে কমিশন খুশি নেই। ওরা আরও নাম বাদ দিতে মাঠে নেমেছে। লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি তালিকা কোথায়? ইআরও-দের কাজ না করতে দিয়ে নিজেরাই অনেক নাম বাদ দিয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বুথ টু বুথ আমাদের বিএলওদের ছায়াসঙ্গী হিসাবে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন-বইমেলায় ভোজবাজির আকর্ষণ মমতা বিতান

নির্বাচন কমিশন চায় অনেক মানুষ হতাশ হয়ে চলে যায়, যাতে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়। একই জায়গায় ১০ হাজার মানুষকে ডেকে পাঠাবে, যাতে সমস্যা হয়। কিছু লোক অধৈর্য হয়ে চলে যাবে আর তাদের নাম বাদ যাবে। প্রত্যেক শুনানি কেন্দ্রের বাইরে তাই সহায়তা শিবির রাখতে হবে। মনে রাখবেন তৃণমূল হল জনগণের দল। জনগণের জন্য জনগণের সঙ্গে। যদি কোনও নেতা জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারেন তবে পদ ধরে রাখার অধিকার তাঁদের নেই।

আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশি-পাকিস্তানি: বেসুরো বিজেপি সাংসদ

পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে পুরপ্রধানের দায়িত্ব যদি কেউ গিয়ে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট চায় অবশ্যই সহায়তা করবেন। আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর মানুষের পাশে থাকার জন্য। নতুন নাম যোগ হলে দেখতে হবে তা বৈধ না অবৈধ। দিদির দূত অ্যাপসে সবসময় আপডেট করবেন। ভোটের দিন দেখেছি তৃণমূল কর্মীরা বুথ ছাড়েন না, গণনাকেন্দ্র ছাড়েন না। এই মানসিকতা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে আমাদের। হঠাৎ করে বলে দেওয়া হবে ৩০ লক্ষ নাম বাদ। তারপর ভোট ঘোষণা করে দেবে। এমন খেলায় নেমেছে, যেখানে সব ওদের। নেই শুধু কর্মী। ভোট ইডি-সিবিআই দেবে না। সাধারণ মানুষ দেবে। এরা দেশের ডিএনএ পরিবর্তন করতে চায়। তাঁরা বিভেদ ও দাঙ্গা বাধিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলার ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারবে না। ভোট মিটে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিএলএ-২দের সঙ্গে দেখা করব। তাঁদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করব।

Latest article