প্রতিবেদন : ২৬/১১, কান্দাহার প্লেন হাইজ্যাক কিংবা কার্গিলের মতো ‘প্রিম্যাচিওর’ রিপোর্টিং থেকে দেশের দায়িত্বশীল মিডিয়াকে বিরত থাকার নির্দেশিকা জারি করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। শুক্রবার এ-বিষয়ে বিবৃতি জারি করে মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমান আবহে রিয়েল টাইম লাইভ কভারেজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব সংবাদমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে এমন ধরনের খবর পরিবেশনে নিষেধ করা হয়েছে যেখানে সীমান্তের ওপারের হামলার মাস্টারমাইন্ডরা সবটা দেখে সেই মতো হামলার কৌশল বদল করতে পারে!
আরও পড়ুন-সুপ্রিম রায়ে প্রমাণিত মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতা : ব্রাত্য
এক্ষেত্রে কেবল্ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ৬(১) ধারার উল্লেখ করে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা বিভাগের কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপের লাইভ কভারেজ করা যাবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ করে ঘটনার সেই সঙ্গে এই ধরনের অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট মন্ত্রকের তরফে বক্তব্য পেশ না হওয়া পর্যন্ত তার প্রকাশ করা যাবে না। আসলে অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উপর একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। শুধুমাত্র আইনি পদক্ষেপের কথা ভেবে নয়, দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা থেকেই নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় পুরনো ইতিহাস যেখানে সাংবাদিকদের অবস্থান বা লাইভ কভারেজের সূত্র ধরে আক্রমণ তীব্র করতে সক্ষম হয়েছিল বিপক্ষ। সেখানে কার্গিলের যুদ্ধ, ২৬/১১ মুম্বই হামলা, কান্দাহার বিমান অপহরণের মতো ঘটনায় অনিয়ন্ত্রিত খবর পরিবেশনকে দায়ী করা হয়েছে।