ফোনালাপ নয়, আলোচনার অডিও ফাঁস, বৈঠক বানচাল করতে সচেষ্ট ছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদেরই একাংশ

মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিকতায় কোনও খামতি ছিল না। পদমর্যাদার তোয়াক্কা না করেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিকতায় কোনও খামতি ছিল না। পদমর্যাদার তোয়াক্কা না করেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে। তারপর কালীঘাটে করজোড়ে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেছিলেন ভিতরে আসতে। তারপরও বৈঠক হল না। আসলে বৈঠক বানচাল করতেই জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ সচেষ্ট ছিলেন। একাংশের সদিচ্ছা থাকলেও উভয়পক্ষের বাদানুবাদে কেটে যায় তিন ঘণ্টা। বৈঠক নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা যে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিও আন্দোলনকারীদের সেই মতানৈক্যের ছবিটা আরও স্পষ্ট করে দেয়। সেই অডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মুখোশ খুলে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, এই অডিও কারও টেলিফোন কথন নয়। এটি জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে নিজেদের বৈঠকের আলোচনা।

আরও পড়ুন-আপ্রাণ চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর, অনড় ছিলেন ডাক্তাররা

মঙ্গলবার থেকে শনিবার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকের জন্য সবরকম সদিচ্ছা দেখানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী ধরনামঞ্চ পর্যন্ত হাজির হয়ে যান। তারপরও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কলীঘাটে বৈঠক হল না। শনিবার সরকারের প্রস্তাবে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা রাজি হলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে মন্ত্রী, আধিকারিকরা বেরিয়ে যান। অযথা তিন ঘণ্টা বিলম্ব ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারার জন্যই বৈঠক ভেস্তে গেল। শনিবার ধরনামঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎকদের সবরকম দাবি শোনার বার্তা দেওয়ার পর নবান্নের পর ফের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের পক্ষ থেকেই মেইল করে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে কি জুনিয়র ডাক্তারদের সব প্রতিনিধি বৈঠক করার সদিচ্ছা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এসেছিলেন? সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। ভাইরাল অডিওতে স্পষ্ট, আন্দোলনকারীদের একাংশ বৈঠকে রফাসূত্রই চায়নি। বৈঠক বানচাল করে দেওয়াই যেন ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন-শক্তি হারাচ্ছে নিম্নচাপ, সোমবার থেকেই হাওয়া বদলাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে

ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়, এক পক্ষ বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে, বৈঠকে যোগদান না করলে কী কী সমস্যা প্রশাসনিকভাবে বা সুপ্রিম কোর্টে হতে পারে। তারপরেও অন্যপক্ষ জনসাধারণের সমর্থনের অজুহাত দিচ্ছে। এক পক্ষ জানায়, ভিডিওগ্রাফ বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য বৈঠক ভেস্তে দেওয়া যেতে পারে না। অন্য পক্ষ ভিডিওগ্রাফ বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি থেকে কখনওই সরে আসতে চায়নি। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পক্ষে যাঁরা দাবি তুলছেন সমস্যা হলে চিকিৎসকদের সব দায়িত্ব তাঁদের নিতে হবে বলেও বৈঠকে ইচ্ছুক চিকিৎসকরা জানান। এ-প্রসঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার আগে ধরনামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের অংশ লাইভ হলে জনগণের বুঝতে সুবিধে হত, কেন বৈঠক হচ্ছে না। স্পষ্ট হত, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জটিলতার মানসিকতা নিয়েই বৈঠকে গিয়েছিলেন।

Latest article