বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)! তিহাড় জেলের কুখ্যাত আসামি গ্রেফতার খাস কলকাতায়। এক ঘণ্টার মধ্যে ৩জনকে খুন তিহাড়ে আর তারপরেই পরিচয় পাল্টে আস্তানা কলকাতায়। আচমকাই এই গ্যাংস্টারের খোঁজে কলকাতায় পৌঁছয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অবশেষে রিপন স্ট্রিট থেকে পার্ক স্ট্রিট থানার সহযোগিতায় গ্রেফতার হন সেই গ্যাংস্টার।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোহরাব নামের এই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ৬ মাস আগে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে আর জেলে ফিরে যান নি সোহরাব। সোহরাবের খোঁজে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর আসে অন্য পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাপ বাইক চালাচ্ছিলেন এই সোহরাব। এরপর রিপন স্ট্রিট থেকে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোহরাব গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোহরাবের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। তিহার থেকে পয়লা জুলাই তিনি প্যারোলে মুক্তি পান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তিহাড় জেলে না ফিরে, তিনি পালিয়ে যান। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, দিল্লি স্পেশাল সেল, উত্তরপ্রদেশের এসটিএফ সকলেই খুঁজছিল এই গ্যাংস্টারকে। এরপরে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত ওই দুষ্কৃতীকে খুঁজতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল আসে কলকাতায়। পার্কস্ট্রিট থানার সহযোগিতায় রিপন স্ট্রিট থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পার্কস্ট্রিট থানার ভিতরে মহঃ সোহরাবকে রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মহঃ সোহরাবের বেশ কয়েকজন ভাই রয়েছে, এবং তারাও গ্যাংস্টার। একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধেও। ২০১১ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোহরাবের সাজা ঘোষণা করা হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় এসে বাইক চালানো শুরু করেন তিনি। রিপন স্ট্রিটে অন্য এক ব্যক্তির আই কার্ড ব্যবহার করে, অ্যাপ বেস মোটর বাইক চালাচ্ছিলেন তিনি। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং পুলিশ জানার চেষ্টা করছে তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা বা এই গ্যাং আর কোথায় কতটা সক্রিয় সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।

