প্রতিবেদন : জেল থেকে পালিয়ে গোটা বাংলাদেশে খোলা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। পালানোর আগে জেল থেকে লুঠ করা বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা। নৈরাজ্যের বাংলাদেশে চরমে পৌঁছেছে অরাজকতা! আর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মৌলবাদীদের প্ররোচনায় সন্ত্রাসবাদকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে। মুখে লোকদেখানো সম্প্রীতির বুলি আওড়ালেও কাজে লবডঙ্কা! দেশের বিভিন্ন হাই সিকিউরিটি জেল ভেঙে পালিয়েছে কয়েকশো কয়েদি। ফাঁসির আসামি থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদী দাগি আসামিরাও রয়েছে তাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরায় জেল ভেঙে পালিয়েছে ৭৮ ও ৮৭ জন জঙ্গি-কয়েদি। পালানোর আগে জেলে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ হাজার কার্তুজ। এর আগে শেরপুরের জেল থেকে ৫১৮ জন ও নরসিংদি জেলা কারাগার থেকে ৮২৬ জন জঙ্গি-কয়েদি চম্পট দিয়েছিল। তারও আগে গত ৬ অগাস্ট কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি জেল ভেঙে পালিয়েছিল ১৯৯ কয়েদি। কিন্তু এখনও দেশের বিভিন্ন জেল থেকে কতজন কয়েদি পালিয়েছে, তার কোনও হিসেবই সরকারের কাছে নেই। এমনকী পলাতক কয়েদিদের পুনরায় খুঁজে বের করে গ্রেফতার করারও চেষ্টা নেই প্রশাসনের। সারা দেশে জঙ্গি-কয়েদিরা এভাবে ঘুরে বেড়ানোয় ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়েছে। তাই সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছে জামাত, বিএনপি-সহ বিভিন্ন সংগঠন। ছাত্রনেতারাও প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে ভারতকে। আর ভারতে বসে এই নতুন বাংলাদেশকে ‘জঙ্গিদের উর্বর লীলাক্ষেত্র’ আখ্যা দিচ্ছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে, লাগাতার সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মারধর, বাড়ি-মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলছেই। দিকে দিকে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দু সন্ন্যাসীদের। ইসকনকে সাম্প্রদায়িক সংগঠন বলে হুমকি দিচ্ছেন দেশের আইনজীবীরা। আইনশৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। সিলেটে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষে প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে নামে সেনাবাহিনী।