প্রতিবেদন: গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ভারতবিরোধী জিগির তুলেছে জামাতপন্থী মৌলবাদীরা। তাতে পরিকল্পিত মদত দিচ্ছে ইউনুস প্রশাসন। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ওপারে সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক নির্যাতন ও আক্রমণের পরেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ হাসিনার দেশত্যাগের পর ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে লাগাতার অনুপ্রবেশ অব্যাহত। সাধারণ নাগরিক থেকে জঙ্গিরাও কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়ে ঢুকে পড়েছে ভারতে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মাত্র পাঁচ মাসে বেআইনি অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের গা-ছাড়া মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। এরপর চাপে পড়ে সীমান্ত কাঁটাতারে ঘেরা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর তাতেই বাধা দিতে নেমেছে বাংলাদেশ বিজিবি। আশ্চর্যজনকভাবে এরপরেও নীরব নরেন্দ্র মোদি সরকার। শেষপর্যন্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে অপমানজনকভাবে বাংলাদেশ সরকার তলব করতেই হুঁশ ফিরল ভারতের। ইউনুস সরকারের ধারাবাহিক অসভ্যতা মুখ বুজে সহ্য করার পর এবার তলব করা হল বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে। সোমবার দিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতরে যান তিনি। ইউনুস সরকারের ভারতবিরোধী নানা পদক্ষেপ এবং সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজে বিজিবির বাধাদানকে ভারত সরকার যে ভালভাবে দেখছে না সেটা তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবারই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সমনে দেখা করতে যান ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানে সীমান্তে অনুপ্রবেশ, জঙ্গি কার্যকলাপ, চোরাচালান ও মানবপাচার নিয়ে ভারতের উদ্বেগ তুলে ধরা হয়। পরে প্রণয় ভার্মা জানান, সীমান্তে অপরাধ দমনে বিএসএফ এবং বিজিবির পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন-ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ওটিটিতে
এদিকে, বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যৌথ উদ্যোগের বার্তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। ভারত এখনও পর্যন্ত সব প্রোটোকল ও নিয়ম মেনেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ করেছে। সেক্ষেত্রে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যেও সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়েছে। ভারত আশা করে পূর্ববর্তী বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে যে
সীমান্তনীতি নিয়েছিল, তা বজায় রাখবে বর্তমান বাংলাদেশ প্রশাসন।