প্রতিবেদন: বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই নজিরবিহীন সব ঘটনা ঘটছে। প্রথমের ‘ডগ বাবু’কে বাসিন্দার শংসাপত্র দেওয়ার পর এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ট্রাক্টরের (tractor) নাম! শুনতে হাস্যকর লাগলেও এটাই সত্যি। এবার একটি ট্রাক্টরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বিহার সরকার! গোটা বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একযোগে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে ঘাসফুল শিবির। যেখানে প্রকৃত নাগরিকরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেখানে কিনা ট্রাক্টরের (tractor) নাম উঠে আসছে ভোটার তালিকায়। এই ঘটনা কি নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে না?
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মহিলা
চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে বিজেপির কথামতো ভোটার তালিকা সংশোধন করতে মহাব্যস্ত কমিশন। এই তার কাজের নমুনা। যেখানে ন্যায্য ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কুকুর, ট্রাক্টর—এই সব নাম উঠে আসছে কমিশনের তালিকায়। এটা গণতন্ত্র আর মানুষের অধিকার নিয়ে ছেলেখেলা নয়? এই ঘটনা আসলে প্রমাণ করে দিল ভোটার যাচাই ব্যবস্থার নামে এই মুহূর্তে যা যা শুরু হয়েছে সবটাই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক ট্যুইট করে বলা হয়েছে, ‘আগে কুকুর, এবার ট্র্যাক্টর। দু’জনকেই বিহার সরকার বাসিন্দার শংসাপত্র দিয়েছে। এই সার্টিফিকেটগুলোকেই প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশনের কর্মসূচি, যেখানে ইতিমধ্যেই লাখো গরিব ও প্রান্তিক মানুষের নাম নির্বিচারে ভোটার তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে।’ বাংলার শাসক দলের তরফ থেকে এই ট্যুইট আসার পর ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, এবার গরু-ছাগলের নামেও ভোটার কার্ড বেরোলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিজেপি সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের আসল রূপ। মানুষ এর জবাব দেবে।