প্রতিবেদন: পণের তালিকায় এবার যোগ হল কিডনি! বিহারে এমন বেনজির অভিযোগ শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিয়ের সময় পণের দাবি গোটা দেশেই বেআইনি। তবু সেই কুপ্রথা আজও ভারতীয় সমাজে প্রবহমান। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পণের আদানপ্রদান এক লজ্জাজনক বাস্তব। একাধিক রাজ্যে পণপ্রথার রমরমা। নগদ অর্থ, দামি আসবাব, মূল্যবান গয়না, গাড়ি, বাড়ি-ফ্ল্যাট, ইলেক্ট্রনিক গেজেট ও দামি নানা পণ্যের তালিকায় এবার যোগ হল কিডনি। চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। আর এই অভিযোগ পেয়ে তাজ্জব প্রশাসনও। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে বিয়ের পণ ধার্য হয়েছে কিডনির বিনিময়ে। বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার এক বধূর অভিযোগ, অসুস্থ স্বামীর জন্য তাঁকে কিডনি দিতে চাপ দিয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
আরও পড়ুন-৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু একই পরিবারের ৩ জনের
পুলিশ সূত্রে খবর, দীপ্তি নামের এক তরুণী সম্প্রতি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির চার সদস্যের বিরুদ্ধে কিডনি-পণ চাওয়ার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ২০২১ সালে বিয়ের পর থেকেই দীপ্তিকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা, গয়না ও মোটরবাইক আনার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠেছে, স্বামীর একটি কিডনি ঠিকমতো কাজ না করায় তাঁকে নিজের কিডনি দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দীপ্তি জানান, এই অমানবিক দাবিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় এবং শেষে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, স্বামীর চিকিৎসার অজুহাতে আমাকে কিডনি দিতে বলা হয়। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। অভিযোগের পর দু’পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে পুলিশ। তবে দীপ্তি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান। কিন্তু স্বামী ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। এই অবস্থায় দীপ্তি থানায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।