এবার দুয়ারে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, ২৫ ব্লকে খুলতে উদ্যোগী দুই স্বাস্থ্যজেলা

তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সেজেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, তমলুক: তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সেজেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান। এতদিন জেলা হাসপাতাল কিংবা মহকুমা হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে পারতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এবার প্রতিটি ব্লকেই ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-ভোট রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল : ফিরহাদ

ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে বিশেষ নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। যেখানে অবিলম্বে জেলার ২৫টি ব্লকে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান গড়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এতদিন মূলত তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল, কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল এবং এগরা মহকুমা হাসপাতাল থেকে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ কিনতে পারতেন সাধারণ মানুষ। এর ফলে দূরদূরান্ত থেকে মানুষের ভিড় জমত সমস্ত দোকানে। এতে গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষজন ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তেন। তাই এবার তাঁদের দোরগোড়ায় ন্যায্যমূল্যের ওষুধ পৌঁছে দিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, তমলুক স্বাস্থ্য জেলায় মোট ১৪টি এলাকায় ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় ১১টি দোকান গড়া হবে। এতে রাজ্য সরকারের তালিকাভুক্ত সমস্ত ওষুধ ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তমলুক স্বাস্থ্যজেলায় কোলাঘাটের পাইকপাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল, সুতাহাটার আমলাট, হলদিয়ার বাড় ঘাসিপুর, এগরার রামচন্দ্রপুর, তমলুকের অনন্তপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জানুবসান গ্রামীণ হাসপাতাল, নন্দকুমারের খেজুরবেড়িয়া হাসপাতাল-সহ একাধিক জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলাতেও ১১টি জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান গড়ে তোলার জন্য দুই স্বাস্থ্যজেলার তরফে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই টেন্ডারে বেশ কিছু নিয়মাবলিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতেই জেলায় এই ২৫টি দোকান চালু করা যাবে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তমলুক স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত দেওয়ান জানান, এই পদক্ষেপের ফলে জেলার বহু প্রান্তিক মানুষ ওষুধের জন্য খরচের বোঝা অনেকাংশে কমাতে পারবেন। ইতিমধ্যে আমাদের তরফে দোকান গড়ে তোলার সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Latest article