নয়াদিল্লি : একের পর এক কর্পোরেটের ঋণ খেলাপের ফলে এনপিএ বা নন পারফর্মিং অ্যাসেট বেড়েছে ৩৬৫ শতাংশ, অভিযোগ বিরোধীদের। তথ্য জানার অধিকার আইন প্রয়োগ করে জানা গিয়েছে, বিগত ৫ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ঋণ মুছে ফেলা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সাংবাদমাধ্যমের করা তথ্য জানার অধিকার আইনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-শৌচাগারে উদ্ধার মানব ভ্রূণ, তদন্তে পুলিশ
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আরটিআইয়ের জবাবে জানিয়েছে, গত ৫ বছরে ব্যাঙ্কগুলি পরিশোধের টাকা আদায় করতে পেরেছে মাত্র ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আরবিআই জানিয়েছে, যে বিপুল পরিমাণে ঋণ মুছে ফেলা হয়েছে তাতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৬ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার রাজকোষ ঘাটতির ৬১ শতাংশ পূরণ করতে সহায়ক হবে। ৫ বছরে মুছে ফেলা ঋণের অঙ্কের মাত্র ১৩ শতাংশ বা ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। কোনও ঋণ যদি মুছে ফেলা হয় তাহলে তা ব্যাঙ্কের সম্পদের খাতা থেকে বাদ হয়ে যায়। যখন কোনও ঋণ গ্রহীতা লাগাতার ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন এবং পরিশোধের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়, তখন সেই ঋণ মুছে ফেলা হয়। ব্যাঙ্কগুলি তখন সেই ঋণের অঙ্ককে ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করে। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহীতাদের কোনও তথ্য জানায়নি আরবিআই। এই তথ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে কর্পোরেট ঋণখেলাপিদের সঙ্গে কতটা গভীর আঁতাঁত রয়েছে মোদি সরকারের।