মর্মান্তিক! ফের নজরে বিজেপির ওড়িশা (Orissa)। রাখি উৎসবের জন্য বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও আর ফেরা হল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজ শেষ করে বেরিয়ে যেতেন কিন্তু ঘরে ফেরার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। অবশেষে হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হল নার্সের দেহ। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের চন্দ্রশেখরপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা ওই হাসপাতালেরই নার্স।
আরও পড়ুন-দেশ বাঁচাও মঞ্চের সামনে বিজেপির অশ্লীল আচরণ
শনিবার নিজের কাজ সেরে রাখি উৎসব উপলক্ষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। দাদা অপেক্ষা করে আছে বলে তাড়াতাড়ি কাজ মিটিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সবটা এলোমেলো হয়ে গেল। আত্মহত্যা নাকি খুন সেটা যদিও এখনও জানা যায় নি। বাথরুমে গিয়ে কী এমন ঘটেছিল সেই প্রশ্নেরও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে। ওই নার্সের দেহ উদ্ধার হওয়ার সময় দেখা গিয়েছে তাঁর হাতে একটি সূঁচ ফোটানো রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে ওই সূঁচই হয়ত মৃত্যুর কারণ। কোনও বিষাক্ত পদার্থ শরীরে ঢুকিয়ে ওই নার্সকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতের দেহ উদ্ধারের দু’ঘণ্টা পর তাঁদের খবর দেয়। কেন এত দেরি করা হল সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নিহতের দাদা জানিয়েছেন প্রথমে জানান হল, নার্সকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছিল ওঁর হাতে নাকি একটা সূঁচ ফোটানো ছিল। তিনি সাফ জানিয়ে দেন আত্মহত্যা করার মত ঘটনা তাঁর বোনের জীবনে ঘটেনি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রশেখর থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নার্সের গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একজন মহিলা এভাবে খুন হয়ে গেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা টেরও পেলেন না?