প্রতিবেদন : যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর রেশ না কাটতেই ফের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। এবার রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে নার্সিং হস্টেলের দোতলার শৌচালয় থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ছাত্রীকে। মৃতার নাম সুতপা কর্মকার। বাড়ি রায়গঞ্জ। পড়ুয়ারা জরুরি বিভাগে ফোন করেন। তাঁর দেহ নামানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুতপাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখন প্রশ্ন, সুতপা কি আত্মহত্যা করেছেন? নাকি র্যাগিংয়ের শিকার?
আরও পড়ুন-শিশুপুত্র-সহ শিক্ষক দম্পতি খুনে মৃত্যুদণ্ড অভিযুক্তের
এর উত্তর খুঁজতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় প্রশ্ন প্রাথমিক ভাবে খারিজ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সুতপার হস্টেলের সঙ্গীরা। কারণ, মৃতা নার্সিং পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাহলে পড়ে থাকে আত্মহত্যার সন্দেহ। সুতপার হস্টেলের পড়ুয়াদের একটি অংশের বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরে আচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। খুব একটা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতেন না। এড়িয়ে চলতেন। ধারণা, কোনও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণও থাকতে পারে। অথবা কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-কাকলির মতে, বিজেপি সাংসদকে সুবিধে পাইয়ে দিতে চাঁদপাড়ার অমৃত ভারত প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে
হাসপাতালের তরফেও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ কৈলাসচন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন সুতপা। এরপর নার্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়ায় ভর্তি হন এসএসকেএম নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে।