প্রতিবেদন : নীতি আয়োগের বৈঠককে কেন্দ্র করে এবার বাংলা-বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হওয়া আটকাতে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিল না মোদি সরকার। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের দাবিদাওয়া ও প্রাপ্য বকেয়ার তালিকা তুলে ধরতে সেই বৈঠকে বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থের নাম প্রস্তাব করে চিঠি পাঠিয়েছিল নবান্ন। রাজ্যের এই অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ওয়েবে ভিন্ন স্বাদ, দর্শক মাত
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের দাবিদাওয়া ঠিকমতো নীতি আয়োগের বৈঠকে তুলে ধরতে দেওয়া হয় না। তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে বসিয়ে রাখার অভিযোগও করেছেন মমতা৷ তাই তাঁর বদলে নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে অর্থমন্ত্রীকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নবান্নের তরফে সেই মর্মে নীতি আয়োগকে একটি চিঠি দেয় রাজ্য প্রশাসন। সেখানে বলা হয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী অথবা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন৷
আরও পড়ুন-দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে মোদি সরকার, বর্ষপূর্তিতে কড়া আক্রমণ ডেরেকের
নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব বা অর্থমন্ত্রীকে পাঠানোর যুক্তি ছিল, রাজ্যের যেসব বিষয় নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকে আলোচনা হবে, তা নিয়ে মুখ্যসচিব এবং অর্থমন্ত্রীও সম্যক ওয়াকিবহাল৷ সেই কারণেই এই দু’টি পদের পদাধিকারীদের নাম মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে নীতি আয়োগে পাঠানো হয়। শেষপর্যন্ত নীতি আয়োগের তরফে সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই প্রতিনিধি পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। অথচ কেন প্রতিনিধি পাঠানো যাবে না তার কোনও কারণ স্পষ্ট করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নীতি আয়োগের বৈঠক ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই বিজেপির বাংলা-বিরোধী মনোভাব আরও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে।