বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ার পর জাতীয় কবাডি খেলোয়াড়ের উপর আক্রমণ। এলোপাথারি ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে নিখিল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খেলোয়াড়, নিখিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর কলুপুকুর এলাকায়।
জ্যোতি তিওয়ারি নামে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ছিলেন মানকুণ্ডুর কুমরোবাগান লেনের নিখিল। মাঝে মধ্যেই জ্যোতির বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল নিখিলের। রবিবার সন্ধ্যায় জ্যোতির বাড়ি আসেন নিখিল। সেই সময় প্রতিবেশীরা বাধা দেয় নিখিলকে। প্রতিদিন কেন ওই বাড়িতে নিখিল আসেন জানতে চায় প্রতিবেশীরা। এরপরেই নিখিলের সঙ্গে বচসা সৃষ্টি হয় প্রতিবেশীদের। নিখিল হঠাৎ ছুরি বের করে এলোপাথারি ভাবে আক্রমণ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর। প্রতিবেশীদের সাথে হাতাহাতিতে চোট পান নিখিল ও জ্যোতিও।
আরও পড়ুন – টোটো- ডাম্পারের সংঘর্ষে নিহত ৫
ঘটনার সময় সেখান থেকে যাচ্ছিলেন জাতীয় কবাডি খেলোয়াড় রাম সাহা। বচসা দেখে থামাতে গেলে তাঁর উপরে আক্রমণ করে নিখিল। ঘটনায় আহতদের নাম রাম সাহা, অমর ঘোষ ও আশিস ধারা। রাম কুমার সা (Ram Kumar Shah) ২০১৯ সালে সাফ গেমস (Kabaddi at the South Asian Games) খেলেছিলেন ভারতের হয়ে। তা ছাড়াও তিনি প্রো কবাডি লিগে পটনা ও দিল্লির হয়ে খেলেছেন।
তাঁদের তিন জনকেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর জখম কবাডি খেলোয়াড়ের হাতে ও পায়ে মোট ৪৮ টি সেলাই পড়েছে ৷ রাম কুমার সা (Ram Kumar Shah) বলেন , “আমি বাড়ি ফিরছিলাম৷ হঠাৎ গন্ডগোল হচ্ছে দেখে থামাতে যাই৷ কিন্তু আমার উপরই চড়াও হয় নিখিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার হাতে ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাতেই ৪৮ টি সেলাই পড়ে।”
নিখিল ও জ্যোতি কে পুলিশ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাঁদের উপর ফের চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। এই সময় ধাক্কাধাক্কিতে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। নিখিলকে গ্রেফতার করেছে চন্দনগর থানার পুলিশ।